ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার রাওনা বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেনীর এক ছাত্রী (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে।
সোমবার বিকালে এ ঘটনায় অভিযুক্ত দবির উদ্দিন (৫২) নামের লম্পট ধর্ষককে আটক করেছে গফরগাঁও থানা পুলিশ।
মাদ্রাসার ছাত্রী জানায়, মাদ্রাসায় যাতায়াতের পথে প্রায়ই উত্যক্ত করতো একই গ্রামের দবির উদ্দিন। গত সপ্তাহে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে ছুরি দেখিয়ে জিম্মি করে গফরগাঁও-শিবগঞ্জ সড়কের ধোপাঘাট গ্রামের নির্জন এলাকায় একটি বন্ধ মার্কেটের একটি কক্ষে নিয়ে তাকে খুন করার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে দবির উদ্দিন।
সোমবার সকালে দবির উদ্দিন ওই মাদ্রাসার ছাত্রীকে বুকে ছুরি ধরে ভয় দেখিয়ে বন্ধ মার্কেটের কক্ষে নিয়ে আবারও ধর্ষণের চেষ্টাকালে মাদ্রাসা ছাত্রীর চিৎকারে পথচারীরা ও এলাকাবাসী এগিয়ে আসে।
এসময় ধর্ষক দবির উদ্দিন দৌড়ে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী ও পথচারীরা ছাত্রীকে উদ্ধার করে মাদ্রাসায় নিয়ে যায়। ঘটনা শোনা মাত্র মাদ্রাসায় উপস্থিত অন্যান্য ছাত্রীরা ধর্ষকের বিচার ও শাস্তির দাবীতে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। গফরগাঁও থানা পুলিশ বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে অভিযুক্ত দবির উদ্দিনকে ধোপাঘাট গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, ধর্ষক দবির উদ্দিনের সর্বোচ্চ শাস্তি না হলে মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যহত হবে। তিনিসহ মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষকরা ওই ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করেন।
ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা কাঁদতে কাঁদতে গণমাধ্যমকে বলেন, ধর্ষক দবির উদ্দিন খুব ভয়ানক ও প্রভাবশালী। এলাকায় ওর একটি দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে । সে আমাকে বা আমার মেয়েসহ পরিবারের যে কাউকে খুন করিবে। আমি লম্পট দবিরের বিচার চাই।
গফরগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।