বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণায় দেখা গেছে ঢালিউড অভিনেতা ফেরদৌসকে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে রোববার তাকে দেখা যায় ভারতের লোকসভা নির্বাচনী প্রচারণায়ও।
১১ এপ্রিল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা শেষ হয়েছে। ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে। এর আগে বিভিন্ন পন্থায় প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের আগে পশ্চিভঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগারওয়ালের সমর্থনে প্রচারণায় নামেন ঢাকাই চলচিত্রের নায়ক ফেরদৌস।
হুডখোলা গাড়িতে করে ফেরদৌসকে নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রোড শো করছেন কানাইয়ালাল। এই রোড শো প্রচারাণায় ফেরদৌস একা ছিলেন না। তার সঙ্গে ছিলেন টালিউড তারকা অঙ্কুশ হাজরা ও পায়েল সরকার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আগামী ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় রায়গঞ্জ, দার্জিলিং ও জলপাইগুড়িতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার রাজ্যটির করণদিহি এবং ইসলামপুরের দুইটি নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা যেতে পারে ফেরদৌসকে। নির্বাচনী প্রচারণায় কেন বাংলাদেশি নাগিরক। এই নিয়ে ইতোমধ্যে সমালোচনার ঝড় বয়ে চলছে ভারতে।
পশ্চিমভঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘ভারতের একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিভাবে বিদেশি নাগরিককে দিয়ে পশ্চিমভঙ্গে রোড শো করায়? এই ঘটনার নিন্দা জানাই।’
এই বিজেপি নেতা আরো বলেন, ‘আজকে ফেরদৈৗস, আগামীকাল হয়তো মমতা ব্যানার্জি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দিয়ে তৃণমূলের নির্বচনী প্রচারণায় অংশ নিতে ডাকতে পারেন।’
তিনি বলেন, ‘দিনাজপুর জেলার ৫০ শতাংশ মুসলিম ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য তারা এই পথ অবলম্বন করছে। তৃণমূল আমাদের ভয় পেয়ে গেছে, তাই বাংলাদেশ থেকে অভিনেতা নিয়ে এসেছে তারা।’
দিলীপ ঘোষের এমন মন্তব্যের পর কানাইয়ালালের নির্বাচনী এজেন্ট মুসারাফ হুসেন জনান, ‘ফেরদৌস বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। আমরা তাকে তৃণমূল কংগ্রেসেরে প্রার্থীর হয়ে রোড শো- এ উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন এবং তিনিও রাজি হয়েছেন। এছাড়া আর কিছু নয়।’