বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন একটি মামলায় ৫ বছর সাজা দেয়ার পর ৫/৭ দিনের মধ্যে জামিনে মুক্ত করা সম্ভব । কিন্তু ১৪ মাস অতিবাহিত হলে ও বেগম জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। কারণ আদালত রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত নয়। নিন্ম আদালত ঠিক ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেনা। তাই আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
তিনি শনিবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা যুবদলের পরিচিতি ও বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ।
জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক নুরুল আমিন খানের পরিচালনায় নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু,মোঃ শাহাজাহান, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন।
বক্তব্য রাখেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মোরতাজুল করিম, দপ্তর সম্পাদক কামরুর জামান দুলাল,চট্রগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তি,নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি,সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আঃ রহমান,বিএনপি নেতা ভিপি জসিম,আবুনাছের,ছলিম উল্লা বাহার হিরণ,শাহা জাফর উল্লা পলাশ,যুবদল নেতা অ্যাডভোকেট সেলিম শাহী, আঃ জাহের,আরাফাতের রহমান হাছান,নিজাম উদ্দিন ফারুক, আনিছ আহমেদ হানিফ, আঃ মতিন লিটন প্রমুখ।
মওদুদ আরো বলেন ৩০ ডিসেম্বর কোন নির্বাচন হয়নি, আগের দিন রাতে ভোট কেন্দ্র দখল করে নির্বাচন কমিশন ,প্রশাসন পুলিশ, র্যাব, বিজিবি নৌকায় সিল মেরে বাক্স ভর্তি করেছে ,তা দেশের কোটি কোটি মানুষ জানে ।
তিনি বলেন যারা এভাবে নির্বাচিত হয়ে সংসদে গিয়ে বসে থাকে তারা দুর্বল। তারা জানে ভোট চুরি করে তারা সংসদে গেছে। বর্তমানে বিরোধী দল বলতে কিছু নেই। সরকার ও বিরোধীদল চায় না। দেশে রাজনীতি শূর্ণতা বিরাজ করছে । তা থাকবেনা । তা কেটে যাবে। মওদুদ আরো বলেন, নির্বাচনের পর থেকে খুন, গুম হামলা মামলার পরও বিএনপির শত বছরের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারা খাঁটি সোনা তাদের রাজনীতি থেকে বিরত করা যাবেনা। দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে বিএনপি কর্মীদের সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে এগিয়ে যেতে হবে।