রমনার বটমূল। ঢাকা ক্লাবের দিক থেকে দু’জন যুবক হেঁটে যাচ্ছিলেন ছায়ানটের মূল মঞ্চের দিকে। একটু আগে লেকের পাড়ে এসে এদিক সেদিক তাকাচ্ছিলেন। কিছু একটা গুজে রাখার যেন চেষ্টা করছিলেন যুবক দু’জন। সাথে সাথে অপর পাশ থেকে বাঁশি বেজে উঠল। সোয়াটের কয়েকজন সদস্য সামনে এগিয়ে যেতেই শুরু হয় বন্দুক যুদ্ধ। এতে যুবক দু’জন নিহত হয়। এরপর ঘটনাস্থলে পৌছে যায় দু’টি স্বয়ংক্রিয় রোবট। প্রথম রোবটটি স্থানের ছবি তুলে পাঠায়। আরো অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজও সারে রোবটটি।
পরে আরো একটি রোবট ঘটনাস্থলে আসে। স্থানটি স্ক্যান করে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। ঘটনাটি আজ শনিবার দুপুরে রমনা বটমূলের নিরাপত্তায় পুলিশের একটি মহড়ার।
পাশেই বসে সব দেখছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তার সাথে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়াসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তা।
জানতে চাইলে সোয়াতের একজন সদস্য জানায়, রোবট দু’টিতে রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়। স্বয়ংক্রিয়ভাবে বোমা বিস্ফোরণ, উদ্ধার, স্থানের ছবি তোলাসহ অন্যান্য কাজ করতে সক্ষম।
একই সময় দেখায় যায়, ডগ স্কোয়ার্ড কে-নাইন। একইভাবে নিরাপত্তায় বর্ধিত শক্তি হিসেব কাজ করবে। কুকুরগুলোর রয়েছে আলাদা নাম। প্রথম প্রথম তারা বাংলা ভাষায় অনভ্যস্ত হলেও এখন তারা বাংলা বুঝে, বাংলাতেই ভাব বিনিময় করে!