বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। এ জন্য গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মানববন্ধন, অনশনের মতো কর্মসূচী পালন করে দাবী আদায় হবে না। তিনি বলেন, আগামীতে বগুড়াই হবে এ এলাকার আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। সেই আন্দোলনের মাধ্যমে দাবী পূরণে সরকারকে বাধ্য করা হবে। তাই সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের জন্য প্রস্ততি নিন।
শনিবার বগুড়া জেলা বিএনপির আয়োজিত গণঅনশন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন দুলু। তিনি আরো বলেন, সরকার নতুন করে বাকশাল কায়েমের চেষ্টা করছে। সরকারের এ ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে হবে। বিগত ৩০ ডিসেম্বরের ভোট আগের রাতে চুরি করে আবারো ক্ষমতায় বসেছে। এ নির্বাচনে বিএনপি হারেনি , হেরেছে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব।
বগুড়া জেলা বিএনপি সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে শহরের নবাববাড়ী রোডে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এ গণঅনশন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতির বক্তব্যে ভিপি সাইফুল বলেন, তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। এ জন্য সবাই প্রস্তুতি নিন।
এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, বিএনপি নেতা লাভলী রহমান, আলী আজগর হেনা, সাবেক এমপি একেএম হাফিজুর রহমান, রেজাউল করিম বাদশা, মাহবুবর রহমান বকুল, সাংবাদিক নেতা মির্জা সেলিম রেজা, ড্যাব নেতা ডাক্তার মামুনুর রশিদ মিঠু, আইনজীবি নেতা একেএম সাইফুল ইসলাম, ও আব্দুল বাছেদ, পরিমল চন্দ্র দাস, মেহেদী হাসান হিমু, সিপার আল বখতিয়ার, ২০ দলীয় জোটের শরীক ইসলামী ঐক্যজোটের শামছুল হক ও জাগপার শামীম আক্তার পাইলট, আহসানুল তৈয়ব জাকির, দেলোয়ার হোসেন পশারী হিরু, শাহাবুল আলম পিপলু, খাদেমুল ইসলাম খাদেম প্রমুখ।
বক্তৃতা শেষে শরবৎ পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান রুহুল কুদ্দুস দুলু । কর্মসূচীতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেয়।