তিন যুগের শাসক ওমর আল বশির পদত্যাগ করেছে বৃহস্পতিবার। দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও সেনাবাহিনীর চাপে তিনি ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার পদত্যাগের পরই দেশটির শাসনভার গ্রহণ করেছ সেনাবাহিনী। তারা আগামী দুই বছরের জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করেছে। এই সরকারের প্রধান করা হয়েছে আওয়াদা ইবনে আওফ। কিন্তু কে এই আওয়াদ, যার নেতৃত্বে উৎখাত করা হলো দীর্ঘ তিন যুগের শাসককে?
মাত্র ছয়সপ্তাহ আগে জেনারেল আওয়াদকে নিজের ডেপুটি হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই আওয়াদই রাষ্ট্রীয় টিভিতে বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণা দেন। বিষয়টিকে পদত্যাগ বলা হলেও, মূলত তাকে অনেকটা বাধ্য হয়েই ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে। বশির সরকারের প্রতিরক্ষমন্ত্রী ছিলেন আওয়াদ। সুদান সামরিক বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় ও প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের একজন তিনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন। ২০০৩ সালে দারফুর সঙ্ঘাতের সময় গোয়েন্দা প্রধানের পদে ছিলেন তিনি।
দারফুরে সহিংসতার দায়ে ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র যে তিন সুদানি সামরিক কর্মকর্তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছিল তার একজন ৬৫ বছর বয়সী আওয়াদ।
২০১০ সালে সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগের পর আওয়াদ সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ দেন। মিসর ও ওমানে কূটনৈতিক মিশনে কাজ করার পর ২০১৫ সালে তাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন ওমর আল বশির। সেই সময়ই মূলত খার্তুমের রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন সাবেক এই জেনারেল।
গত কয়েক মাস ধরে প্রেসিডেন্ট বশিরের বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভ চলছে, শুরু থেকেই তার প্রতি সহানূভূতিশীল ছিলেন আওয়াদ। শেষ পর্যন্ত বশিরকে হটিয়ে তিনিই বসলেন ক্ষমতার মসনদে।