ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যুর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার প্রধান শিক্ষকের ধর্ষণে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার খুশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। একই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন প্রধান শিক্ষক আবদুল করিম (৫৫)। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই শিশু ছাত্রী। বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক আবদুল করিম।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এসএম এমরানের কাছে জবানবন্দি দেন আবদুল করিম। পরে আবদুল করিমের জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত।
আদালতের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) গোলাম জিলানী বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান শিক্ষক আবদুল করিমকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোবারক হোসেন। পরে আবদুল করিমের জবানবন্দি নেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এসএম এমরান। জবানবন্দিতে একই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক আবদুল করিম। ধর্ষণে ওই শিশুছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা বলে স্বীকার করেন তিনি।
গোলাম জিলানী আরও বলেন, শিক্ষক আবদুল করিম ধর্ষণের কথা স্বীকার করলে তাকে রিমান্ডে চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোবারক হোসেন। পরে আবদুল করিমের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রধান শিক্ষকের ধর্ষণের শিকার হয় উপজেলার খুশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই শিশুছাত্রী। বিষয়টি জানাজানি হলে গত ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান শিক্ষক আবদুল করিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পরদিন দাগনভূঞা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন নির্যাতিত ছাত্রী মা।
প্রসঙ্গত, ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির (১৮) গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যা করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে জানাজার পর সন্ধ্যা ৬টায় সোনাগাজী আল হেলাল একাডেমির পাশে সামাজিক কবরস্থানে চির নিদ্রায় নুসরাতের মরদেহ শায়িত করা হয়।