শুধু থালাভর্তি ভাত খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করে বেশি করে শাকসবজি, ফল, মাছ-মাংসসহ পুষ্টিসমৃদ্ধ সুষম খাদ্য খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে শেখ হাসিনার সরকার জিরো টলারেন্স। এ বিষয়ে কোনো আপস নেই। বাংলাদেশে আর খাদ্যের অভাব নেই কিন্তু নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের অভাব রয়েছে। তাই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই বিষয়টি উপলব্ধি করেই নিরাপদ খাদ্যের জন্য জিহাদ ঘোষণা করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ভিজিডি কার্ডধারীদের মাঝে পুষ্টি চাল বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং সেই সঙ্গে দেশের জনগণের ক্রয়ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সুষম খাদ্যগ্রহণে অসচেতনতার কারণে দেশের জনগণের মাঝে এখনও পুষ্টি সমস্যা বিরাজমান। সাধ্য থাকলেও আমরা এখনও আমাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে পারছি না। আমাদের যে খাদ্যাভ্যাস সেটা একটু পরিবর্তন করতে হবে। শুধু থালাভর্তি ভাত খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করে সুষম খাবার গ্রহণের ওপর জোর দিতে হবে। বেশি বেশি করে শাকসবজি, ফল, মাছ-মাংসসহ পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘পুষ্টি সমস্যা বা পুষ্টি ঘাটতি দূরীভূত করতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নিরাপদ ও পুষ্টিমান খাবার নিশ্চিতে বর্তমানে ৪৬৩টি সংস্থা কাজ করছে। এ ছাড়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টি সমস্যা দূর করতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি উল্লেখযোগ্য। এই কর্মসূচির আওতায় ২০১৮ সালে দেশের ১০টি উপজেলায় ১ লাখ ২১ হাজার ১৫৯ জন পরিবারের মাঝে পুষ্টি চাল বিতরণ করা হয়েছিল। এ বছর নতুন করে আরও ১৪টি উপজেলা যুক্ত করে মোট ২৪টি উপজেলায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪০টি পরিবারে পুষ্টি চাল বিতরণ করা হচ্ছে। অচিরেই দেশের সব হতদরিদ্র মানুষ এই কর্মসূচির আওতায় আসবেন।’
উপজেলা পরিষদের স্থায়ী মঞ্চে আয়োজিত পুষ্টি চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মিজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আরিফুল হক, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) প্রোগ্রাম প্রধান রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. মাহফুজুল আলম।