স্নাইপার রাইফেলের টার্গেট রাহুল গান্ধী!

নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে আম জনতার মধ্যে মিশে যাওয়ার নজির অনেক বারই রাহুল গান্ধীর রয়েছে; কিন্তু এবার বড়সড় গলদ ধরা পড়ল সেই কংগ্রেস সভাপতির নিরাপত্তাতে। আমেথিতে বুধবার মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তার মুখে অন্তত সাত বার লেজার রশ্মি ফেলা হয়েছিল। ওই লেজার রশ্মি কোনও স্নাইপার রাইফেল থেকে ফেলা হতে পারে বলে ধারণা করছে তার দল কংগ্রেস।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে চিঠি লিখে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করে অভিযোগ জানিয়েছে কংগ্রেস। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা ও রাজীব গান্ধী হত্যার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কংগ্রেসের চিঠিতে বলা হয়েছে, রাহুলের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হয়েছে। দাবি জানানো হয়েছে নিরাপত্তা বাড়ানোর।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় অবশ্য রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবারের ওই ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখেছেন স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের প্রধান। প্রাথমিক তদন্তের পর তিনি জানিয়েছেন, সবুজ রঙের ওই লেজার রশ্মি মোবাইলে ছবি তোলার সময় হতে পারে। ওই ফটোগ্রাফারও কংগ্রেসেরই। প্রাথমিক তদন্তে রাহুলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনও বিষয় নজরে আসেনি।

নিয়ম অনুযায়ী ভিভিআইপি রাহুল গান্ধী জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি)। এ ছাড়া স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও বিষয়টি তদারকি করে। দু’পক্ষের সমন্বয়ের মাধ্যমেই গোটা এলাকার উপর কড়া নজরদারির কাজ চলে। কংগ্রেসের অভিযোগ, এই নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করেই বুধবার রাহুলের মুখে অন্তত সাত বার লেজার রশ্মি ফেলা হয়েছে। চিঠির পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে রাহুলের কথা বলার সময়কার সেই ভিডিয়ো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে কংগ্রেস।

কংগ্রেস সভাপতিকে ‘টার্গেট’ করার সম্ভাবনা যে রয়েছে, তার পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে কংগ্রেস তুলে এনেছে ১৯৮৪ সালে তারই দাদী তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী হত্যাকাণ্ড এবং ১৯৯১ সালে রাহুলের বাবা রাজীব গান্ধীর হত্যার প্রসঙ্গ। কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেল, জয়রাম রমেশ এবং রণদীপ সিংহ সূরজেওয়ালার স্বাক্ষর করা ওই অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরিবারের দুই সদস্য হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তাই রাহুলেরও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। এই ‘গুরুতর’ বিষয়টি অতি দ্রুত খতিয়ে দেখার আবেদন জানানো হয়েছে চিঠিতে।

এসপিজির পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের গাফিলতি বলে উল্লেখ করে কংগ্রেসের চিঠিতে বলা হয়, রাজনৈতিক মতামতের ঊর্ধ্বে উঠে রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তা দেওয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। মন্ত্রণালয় অবশ্য কংগ্রেসের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। সূত্র: আনন্দবাজার 

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top