এরশাদ পরিবার থেকে জাপার নেতৃত্ব আশা করে মানুষ : জিএম কাদের

নেতাকর্মীদের সাথে অনির্ধারিত বৈঠকে জিএম কাদের উত্তরবঙ্গের সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘উত্তরাঞ্চলের মানুষ মনে করেন জাতীয় পার্টি তাদের পক্ষে সবচেয়ে সোচ্চার রাজনৈতিক মঞ্চ। আর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে অবহেলিত উত্তরাঞ্চলে যে উন্নয়ন হয়েছে তা কৃতজ্ঞচিত্তেই মনে রেখেছেন সেই এলাকার কোটি মানুষ।

সাধারণ মানুষ মনে করেন ঐতিহাসিকভাবেই নেতৃত্বে রক্তের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বংশ পরম্পরায় জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব আশা করেন তারা। কারণ উত্তরাঞ্চলের মানুষের একমাত্র ভরসার জায়গা হচ্ছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টির ভালোমন্দের সাথে তাদের জীবন জড়িত। তাই উত্তরাঞ্চলের মানুষ চায় জাতীয় পাটির নেতৃত্ব উত্তরবঙ্গ থেকেই আসুক।’ বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে নেতাকর্মীদের সাথে অনির্ধারিত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সারাদেশের সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদের সামনে সত্য প্রমাণিত হয়নি।’ নৈতিক সমর্থন অব্যাহত রাখতে পার্টির নেতাকর্মী, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ‘সবাইকে নিয়েই রাজনীতি করবো আমরা। দেশের স্বার্থে রাজনীতির মাঠেই থাকবো সারাজীবন। তবে দলের শৃংখলা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সকল বিভেদ ভুলে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে দেশ ও দলের স্বার্থে।’

তিনি বলেন, পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যতদিন বেঁচে আছেন তিনিই আমাদের নেতা। কিন্তু উত্তরাঞ্চলের মানুষ মনে করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অবর্তমানে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পরিবার এবং রংপুর থেকেই হতে হবে। কারণ দেশের মানুষ ও পার্টির নেতাকর্মীরা এমন নেতৃত্বই আশা করেন।

জাতীয় পার্টির আগামী দিনের রাজনীতি প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এবং দেশের স্বার্থেই জাতীয় পার্টি বেঁচে থাকবে। কারণ জাতীয় পার্টি হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিবাচক রাজনীতির নিয়ামক শক্তি।

এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, হাসিবুল ইসলাম জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি, যুগ্ম দফতর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান, যুগ্ম পরিবার পরিকল্পনা সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবু তৈয়ব, জয়নাল আবেদীন, সোলায়মান সামি, তাছলিমা আক্তার, ঝোটন দত্ত, সরদার নজরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন তোতা, নুরুল ইসলাম, জিসান প্রমুখ ছিলেন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top