মানুষের জীনগত কারণে কেন হৃদরোগ ও ডায়বেটিস বাড়ছে সেটা নিয়ে নতুন গবেষণা চলছে ব্রিটেনে। ব্র্যাডফোর্ড শহরে শুরু হওয়া ওই গবেষণায় যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
‘বর্ন ইন ব্র্যাডফোর্ড’ বা ব্র্যাডফোর্ডে জন্মগ্রহণকারী শিরোনামে করা এই জীনতাত্ত্বিক গবেষণা মূলত খুঁজে বের করবে যে দক্ষিণ এশিয়রা কিভাবে চিকিৎসা পায়। ইতোমধ্যে ১৩ হাজার ৫০০ শিশুদের জন্ম থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সময় পর্যবেক্ষণ করছেন গবেষকরা। নতুন করে বাংলাদেশি ও পাকিস্থানি বংশোদ্ভূতদেরই গবেষণার জন্য বিবেচনা করবেন তারা।
ব্র্যাডফোর্ডে এই দুই দেশের নাগরিকেরাই ব্রিটেনের মধ্যে সবচেয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। ব্রিটিশ নাগরিকদের টাইপ ২ ডায়বেটিস এর সাপেক্ষে বাংলাদেশি ও পাকিস্থানিদের সংখ্যা প্রায় চারগুণ। বিজ্ঞানী ও গবেষকরা ব্র্যাডফোর্ড ও পূর্ব লন্ডনের প্রায় ২০ হাজার দক্ষিণ এশীয়র জ্বিন বিশ্লেষনের পরিকল্পনা করছে।
ব্র্যাডফোর্ড ইনস্টিটিউট ফর হেলথ রিসার্চ এর পরিচালক অধ্যাপক জন রাইট বলেন, ‘বাংলাদেশি ও পাকিস্থানি প্রাপ্ত বয়স্কদের জ্বিন পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা তাদের স্বাভাবিক অবস্থা বুঝতে পারবো। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ সেক্ষেত্রে ঠিক কি কারণে শিশুদের মধ্যে রোগ ছড়াচ্ছে সেটি বের করা সম্ভব হবে।
এই গবেষণায় ১৬ বছরের বেশি বয়সী বাংলাদেশি কিংবা পাকিস্থানি বংশোদ্ভূত যারা রোগে আক্রান্ত কিংবা আক্রান্ত নয় তাদের জ্বিন পরীক্ষা করা হবে।