জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) হামলার শিকার হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হ্যান্ডবল টিম। হামলায় ইবি শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, ক্রীড়া বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহলসহ ৯জন খেলোয়াড় গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে রাব্বি ও ইমন নামে দুই খেলোয়াড়ের হাত ও কোমর ভেঙ্গে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এছাড়া হামলার শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়েছেন এক খেলোয়াড়।
হামলায় আহত ইবি খেলোয়াড়রা হলেন- আশিক, ইমন, শিমুল, রাব্বি, সাকিব, হৃদয়, সালমান, জাকারিয়া, দিপন, শোভন, সালফি, সৌরভ। আহতদের সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এদিকে আহতদের মধ্যে ৮জন বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড় বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেল ৪টায় জাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পূর্বনির্ধারিত হ্যান্ডবল খেলা শুরু হয়। খেলায় শুরু থেকেই জাবি দলের খেলোয়াড় ও দর্শকরা আক্রমণাত্মক ছিল বলে জানা যায়। খেলায় ইবি তিন পয়েন্টে এগিয়ে গেলে উপর্যপুরি ফাউল করতে থাকে জাবির খেলোয়াড়রা।
একপর্যায়ে ইবির খেলোয়াড়রা ফাউল আবেদন করলে তাদের ওপর চড়াও হয় জাবি খেলোয়াড়রা। ভিডিওতে দেখা যায়, খেলার ১২ মিনিট বাকি থাকতে ইবি টিম জাবি টিমকে আরো একটি গোল দেয়। এরপরেই জাবির খেলোয়াড়রা হামলা করে।
একই সময় মাঠে ঢুকে পড়ে জাবির দর্শকরা। তারাও খেলোয়াড়দের ওপর হামলা শুরু করে। এসময় তারা রড, লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করে ইবির খেলোয়াড়দের। এ সময় ইবির শিক্ষক, কোচ ও কর্মকর্তারা হামলাকারীদের ঠেকাতে গেলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়।
হামলার শিকার ইবির শিক্ষক প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, খেলায় ন্যূনতম নিরাপত্তা ছিল না। আমাদের খেলোয়াড়দের ওপর হামলা করার পর আমরা যখন থামাতে যায় তখন আমাদের ওপরও হামলা করা হয়। শিক্ষক পরিচয় দিলেও তারা হামলা থামায়নি।
এদিকে জাবিতে ইবি খেলোয়াড়দের ওপর হামলার ঘটনা জানার পর তাৎক্ষণিক কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন ইবি শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় বিচার দাবি করেছেন ইবি ভিসি ড. রাশিদ আসকারী। তিনি বলেন,‘আমরা ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ কর্তৃপক্ষের কাছে এ ঘটনার বিচার চেয়েছি। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইবি শিক্ষক সমিতিসহ সকল শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠন।’
এ বিষয়ে জাবি ভিসি ফারজানা ইসলাম বলেন,‘আমার শিক্ষার্থীরা যেটি ঘটিয়েছে তার জন্য আমারা লজ্জিত। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাবি প্রশাসন বদ্ধ পরিকর।’