স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, গ্রামের মানুষকে বঞ্চিত করে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সেজন্য গত নির্বাচনের আগেই বর্তমান সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে শহরের বিভিন্ন নাগরিক সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১১২ টি সেবা প্রদানের কথা থাকলেও সকল ইউনিয়ন পরিষদ যথাযথভাবে তা প্রদান করতে সক্ষম নয়।
এজন্য ইউনিয়ন পরিষদকেও শক্তিশালী করা হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নে অন্তত বিশ হাজার লোক বাস করে। তাদেরকে যথাযথ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করতে পারলে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়বে। এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।
মন্ত্রী বুধবার সকালে রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যত করণীয় বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয়ভাবে সহজে, কম খরচে, দ্রুত এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিরোধ নিস্পত্তি করতে গ্রাম আদালতের ভূমিকা প্রশংসনীয়। দেশের প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা জনগণের সংখ্যার তুলনায় অপর্যাপ্ত। এ শূন্যতা পূরণে গ্রামে ছোটখাট বিরোধগুলো মিটিয়ে ফেলতে গ্রাম আদালত কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক, ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন টু বাংলাদেশ-এর টিম লিডার অড্রে মেলট।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ড. কাজী আনোয়ারুল হক ও বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প সমন্বয়ক সরদার এম আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
