মাদ্রাসা ছাত্রীর গায়ে আগুন : সোনাগাজীর বিতর্কিত ওসি প্রত্যাহার

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ওই থানার ওসি মো: মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সাথে আলোচিত এ মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়েছে।

আজ বুধবার পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ শাখার এআইজি সোহেল রানা এ তথ্য জানিয়েছেন।

সূত্র জানায়, গত ৬ এপ্রিল মাদরাসার সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে দুর্বৃত্তদের আগুনে রাফি অগ্নিদ্বগ্ধ হওয়ার ঘটনার শুরু থেকে সোনাগাজী মডেল থানা ওসি মো: মোয়াজ্জেমের ভূমিকা ছিলো প্রশ্নবিদ্ধ। শুরুতে ঘটনার তদন্ত, জড়িতদের ধরতে অনীহা ও রাফি অগ্নিদ্বগ্ধ হওয়ার ঘটনা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় গণমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচিত হয় থানা পুলিশ। এছাড়া প্রথম মামলায় কাউকে আসামি না করলেও পরবর্তীতে সংশোধন করে কারাবন্ধী অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ আটজনের নাম উল্লেখ ও বোরকা পরিহিত মুখোশধারী অজ্ঞাত আরো চারজনকে আসামি করা হয়।

এর আগেও ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর ঘুষ কেলেঙ্কারি, স্বর্ণ চুরি, মামলার আলামত চুরি করে বিক্রি করে দেয়া, সন্ত্রাসীদের মদদ দেয়া, টোকেন দিয়ে নম্বরবিহীন সিএনজি অটোরিকশা থেকে মাসোহারা আদায়, ভুয়া মামলা দিয়ে অর্থ আদায়, স্কুলছাত্রের উপর নির্যাতন, নিরীহ গ্রামবাসীর উপর হামলা, ব্যবসায়ীসহ মুচি, কামার, কুমার থেকে চাঁদাবাজির হাজারো অভিযোগের বোঝা মাথায় নিয়ে ছাগলনাইয়া মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার হন মো: মোয়াজ্জেম হোসেন।

এর আগে জামায়াত কানেকশনসহ নানা অভিযোগে ফেনী মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার হন দুর্নীতিবাজ এ পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের এক কেন্দ্রীয় নেতার নিকটাত্মীয় পরিচয় দিলেও আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন এর কোনো সত্যতা নেই। সোনাগাজীতেও যোগদানের পরপরই আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার ঘুষ-দুর্নীতির প্রতিবাদে মাঠে নামেন। কোনো প্রতিকার না পেয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা চুপসে যান। তবে তার সময়কালীন সময়ে সোনাগাজী চুরি-ডাকাতি-চাঁদাবাজী-ধর্ষণ অন্য সময়ের তুলনায় বেড়ে যায় বলে তাদের দাবি।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top