বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো মামলার শুনানির জন্য আগামী ২৩ এপ্রিল নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার নবম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আজ বুধবার এ আদেশ দেন।
আজ এ মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে করা আসামি পক্ষের আবেদনের শুনানির তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু আসামি পক্ষ থেকে জানানো হয় বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। তাই এ বিষয়ে শুনানির জন্য সময় চাওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন জিয়াউদ্দিন জিয়া, জয়নুল আবেদীন মেজবাহ ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম মামলাটি করেন।
পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।
অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।