আগামী মাসে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েরসে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি পুরুষ ক্রিকেট বিশ্বকাপে আবহাওয়া একটা বড় ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য করেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেন।
দশ দলের অংশগ্রহণে আগামী ৩০ মে থেকে ১৪ জুলাই দেড় মাসব্যাপী এ টুর্নামেন্টে সচরাচর গরম ও শুষ্ক আবহাওয়া উপমহাদেশের দলগুলোর জন্য সহায়ক হতে পারে বলে বিশ্বাস করছেন পিটারসেন।
মুম্বাইয়ে এক অনুষ্ঠানে ইংল্যান্ড দলের সাবেক অধিনায়ক পিটারসেন বলেন, ‘বিশ্বকাপটা হতে যাচ্ছে আবহাওয়া নির্ভর।’
তিনি আরো বলেন, ‘১৯৭৬ সালের পর গত বছরের ইংলিশ গ্রীষ্ম মৌসুমটা ছিল সবচেয়ে সুন্দরগুলোর একটি। যুক্তরাজ্যের রেকর্ড সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছিলন গত গ্রীষ্মে, বৃষ্টির পরিমাণ ছিল খুবই কম এবং কন্ডিশন ছিল অত্যন্ত শুষ্ক।এবারের কন্ডিশনও যদি গত বছরের মতো থাকে তবে বিশ্বকাপে উপমহাদেশের দলগুলো অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস।
ইংল্যান্ডের হয়ে ১৩৬ ওয়ানডে খেলা এ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান আরো বলেন আগের গ্রীষ্মের চেয়ে কন্ডিশন ভিন্ন হলে সবুজ উইকেট থেকে লাভবান হবে ইংল্যান্ড।
তিনি বলেন, ‘তেমনটা না হয়ে ভয়ঙ্কর, সবুজ এবং সিমিং কন্ডিশন হলে সেটা ইংল্যান্ড দলের খেলার জন্য সহায়ক হবে এবং ইংলিশরা এ ধরনের কন্ডিশনে ভালো খেলে থাকে।’
ভারত ও ইংল্যান্ড উভয় দলই ফেবারিট হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরু করবে। তবে গত কয়েক মাসের পারফরমেন্স বিবেচনা করলে শিরোপার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে স্বাগতিকরা। নিজেদের শেষ ৪৩ ওয়ানডের মধ্যে ৩০ ম্যাচ জয় করা ইংল্যান্ড বর্তমানে সীমিত ওভারে আইসিসি র্যাংকিংয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে।
বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দিনকে দিন শক্তিশালী হচ্ছে এবং তৃতীয়বার এ শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে। সীমিত ওভারে দলটির সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা ও ওপেনিং ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মাও স্বীকার করেছেন ইংলিশ আবহাওয়ার কারণে ভারতীয় দল নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা অনেক বেশি থিতু একটি দল। দলে বেশ কয়েকটি পজিশন আছে যে বিষয়ে সকলেই জানে। দলের কম্বিনেশন কি হবে তা নির্ভর করছে অধিনায়ক, কোচ ও নির্বাচকদের ভাবনার ওপর।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইংলিশ কন্ডিশনের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। আমাদের সর্বশেষ সফরের সময় সেখানকার কন্ডিশন সত্যিই শুষ্ক ছিল। এবারও একই কন্ডিশন থাকবে কিনা আমরা জানি না। তেমনটা থাকলে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের একজন অতিরিক্ত স্পিনার দরকার হবে। তেমনটা না হলে সম্ভবত আমাদের একজন অতিরিক্ত পেসার দরকার হবে।’