ইরান বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রই সন্ত্রাসবাদের প্রকৃত নেতা। একই সাথে মার্কিন বাহিনী সেন্টকমকে (ইউনাইটেড স্টেটস সেন্ট্রাল কমান্ড) সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করেছে দেশটি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্ব সন্ত্রাসের মূল নেতা। আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে মার্কিনীদের প্রতি তিনি প্রশ্ন করেন, ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ডকে সন্ত্রাসী বলার আপনারা কে? তিনি বলেন, আপনারা চান, এ অঞ্চলে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে। মূলত আপনারাই বিশ্ব সন্ত্রাসের মূল নেতা।
এর আগে গতকাল সোমবার ইরানের ‘এলিট ফোর্স’ হিসেবে পরিচিত রেভ্যুলেশনারি গার্ডকে (আইআরজিসি) বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ওই পদক্ষেপের পাল্টা জবাব দিতেই এমন ঘোষণা দেয় ইরান।
ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (এসএনএসসি) জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেয়ায় এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে এসএনএসসির পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনের এমন পদক্ষেপকে অবৈধ ও নির্বোধ কর্মকাণ্ড বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সাথে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক’ দেশ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।
এসএনএসসি ওই বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্র দেশগুলো সব সময় পশ্চিম এশিয়ায় চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মার্কিন বাহিনী সেন্টকমকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করতে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ।
ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনো দেশ অন্য দেশের সামরিক বাহিনীকে আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কের খুবই অবনতি ঘটে। ট্রাম্প তার পূর্বসূরি ওবামার করা পরমাণু চুক্তি থেকে বের হয়ে গেলে এ অবস্থা আরো সঙ্গীন রূপ লাভ করে।