রানা প্লাজার সোহেল রানার বিরুদ্ধে ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় জামিনের বিষয়ে রুল খারিজ (ডিসচার্জ) করে দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সাথে ছয় মাসের মধ্যে মামলার বিচার নিষ্পত্তির জন্য বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর ফলে আপাতত জেলেই থাকতে হবে তাকে।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ ফৌজদারী বিবিধ মামলার রুল খারিজ করে রায় প্রদান করেন।
এই মামলায় দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো: খুরশিদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাজ্জাদ আলী চৌধুরী।
২০১৬ সালের ৯ মে হাইকোর্ট এই মামলায় তার জামিন কেন দেয়া হবে না, সেই মর্মে রুল দিয়েছিলেন। এর আগে ১৮ এপ্রিল তার স্ত্রী নুর নাহার মিটু হলফনামা মূলে তার জামিন আবেদন করেছিলেন।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আট তলা রানা প্লাজা ধসে ১১৩৫ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আহত হন কয়েক হাজার মানুষ। রানা প্লাজার ভবনটি অনিয়মের মাধ্যমে ছয় তলা থেকে ১০ তলা করা হয়। ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে পরের বছরের ১৫ জুন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক এসএম মফিদুল ইসলাম সাভার মডেল থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন (সাভার থানার মামলা নং ৪২, তারিখ ১৫.০৬.২০১৪)। ওই বছরের ১৬ জুলাই ভবন মালিক রানাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা ও দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।