খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জোট ও দলগতভাবে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০ দলীয় জোট। গত রাতে জোটের বৈঠকের পর সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান এ কথা জানান।
তিনি বলেন, সভায় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ এবং সুচিকিৎসার স্বার্থে অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়েছে। এই দাবিতে জোটগতভাবে এবং জোটের শরিক দলগুলো নিজ নিজ উদ্যোগে কর্মসূচি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশনেত্রীর মুক্তির সাথে গণতন্ত্রের মুক্তি একাকার হয়ে গেছে। আমরা গণতন্ত্রের মুক্তি চাই। ২০ দল দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ গণ আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কী কর্মসূচি হবে সে বিষয়ে পরবর্তী বৈঠকে ঠিক করা হবে বলে জানান জোটের সমন্বয়ক।
এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ২০ দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে কোনো টানাপড়েন নেই। আমরা পাশাপাশি আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাবো।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে রাতে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা আবদুল হালিম, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, জমিয়তে উলামায়ের মাওলানা নুর হোসেইন কাশেমী, মাওলানা মহিউদ্দিন একরাম, খেলাফত মজলিসের আহমেদ আবদুল কাদের, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির ডা: মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার চৌধুরী বুলবুল, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের, বিজেপির আবদুল মতিন সউদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।