ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে (১৮) পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অজ্ঞাত ৪ জন উল্লেখে করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমার বিকাল ৩টায় তার বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল দানায় মামল দায়ের করেন।
সোনাগাজী মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেমে হোসেন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাদ্রাসা ছাত্রীকে অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭ জনকে আটক করেছে। এদের মধ্যে মাদ্রাসার দারোয়ান মোস্তফা, অধ্যক্ষের ফুফা-শশুর ও ব্যক্তিগত সহকারী নুরুল আমীন, ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক আফছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, আলা উদ্দিন ও জসিম উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে দেখছে। চট্রগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো: আবুল ফজল, ফেনী পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। মামলার অগ্রগতির সার্থে কোনো তথ্য বলা যাচ্ছে না।
এর আগে ৬ এপ্রিল সকালে, শনিবার সকালে মাদ্রাসায় পরীক্ষা দিতে এলে সহপাঠীরা চারতলায় ডেকে নিয়ে মুখোশ পরা মহিলা দুবৃর্ত্তরা নুসরাতের গায়ে জোরপূবর্ক কেরোসিন জাতীয় পদার্থ ঢেলে অগ্নি সংযোগ করলে তার শরীরের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যায়। অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসফাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টার পর থেকে কোনো কথাই বলতে পারছে না সে। এদিকে অগ্নিদগ্ধ রাফিয়াকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটের প্রধান সামন্ত লাল সেন এ কথা নিশ্চিত করেছেন।