প্যারোলে নয় খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই : রিজভী

দলের প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে নয়, নিঃশর্ত মুক্তি চায় বিএনপি। আজ এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ সোমবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

রিজভী আরো বলেন, বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি না করায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতারা দেশের বাইরে চিকিৎসা নিলেও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রীর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, মন্ত্রীদের কথা শুনে মনে হচ্ছে সরকার বেগম জিয়াকে প্যারোলে মুক্তি দেয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। আমরা দেশনেত্রীর প্যারোলে মুক্তি চাই না, নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি চাইবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, তিনি তো এই মামলায় জামিন পাওয়ার যোগ্য। তাহলে প্যারোলের প্রশ্ন আসছে কেন? আমরা সরকারকে বলবো দেশনেত্রী জামিনে যেন বাধা না দেয়া হয়।

এ সময় রিজভী অভিযোগ করে বলেন, বেগম জিয়ার কারাগারে থাকার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান অ্যাটর্নি জেনারেলের। তিনিই বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য প্রধান প্রতিবন্ধক বলে মন্তব্য করেন রিজভী।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের যদি কোনো ক্ষতি হয় তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।

নির্বাচনের আগে থেকে ভুতুড়ে অভিযোগপত্র ছাপিয়ে রেখে সেখানে বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম বসিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর নির্ভরশীল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে প্রধানমন্ত্রী চার বছর আগে মৃত ব্যক্তিদের নামেও মামলা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, সরকার আদালতের উপর প্রভাব খাটিয়ে বিএনপি নেত্রীকে জামিন দিচ্ছে না। এই মামলায় সবাই জামিন পেলেও গণতন্ত্রের মা জামিন পাচ্ছে না। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীরাও এরকম মামলায় জামিনে আছে। এখানেই প্রমাণ হচ্ছে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলকে ৪-৫ দিন যাবত ফাঁসির সেলে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, আমরা হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top