স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় মাত্র সাত শত টাকার জন্য দা দিয়ে জবাই করেদেহ থেকে মাথা আলাদা করে ব্যাগে লুকিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে একটি ডোবায় কচুরিপানার নিচে ‘কাটা মাথা’ রেখে আসার পর ঘাতক বাবুলমিয়া (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে জেলা গেয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।গ্রেফতারকৃত বাবুল মিয়া মুক্তাগাছা উপজেলার বানিয়াকাজী গ্রমের হাতেম আলীর ছেলে।
রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোঃ শাহ আবিদ হোসেন।
এর আগে শনিবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরে সন্দেহভাজন হিসেবে বাবুলকে আটক করেডিবি পুলিশ। পরে তাকে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদের পর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেরাতে মুক্তাগাছা উপজেলার বানিয়া কাজী গ্রামের একটি ডোবা থেকে নিহতসাজুর মাথা উদ্ধার করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, মুক্তাগাছা উপজেলার গড়বাজাইলগ্রামের মৃত হালিম উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান সাজু (২১)র’ কাছে সাত শতটাকা পেতো একই উপজেলার বানিয়াকাজী গ্রমের হাতেম আলীর ছেলে ঘাতকবাবুল মিয়া।গত ৩০ মার্চ পাওনা টাকা নিয়ে সাজুর সাথেতর্কবিতর্ককালে বাবুল মিয়া ঘুষি মারে সাজুকে। এতে সাজু অজ্ঞান হয়েমাটিঁতে পরে যায়।
এসময় অজ্ঞান অবস্থায় সাজুকে একটি মৎস ফিসারীর কাছেনিয়ে রাখে। পরে বাড়ি থেকে বটি-দা এনে সাজুর দেহ থেকে মাথা কেটে আলাদাকরে ব্যাগে লুকিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে একটি ডোবায়কচুরিপানার নিচে ‘কাটা মাথা’ রেখে আসে।
তিনি আরও জানান, পরদিন ৩১ মার্চসকাল ৮ টারদিকেবানিয়াকাজীগ্রামের তাইজুলের ফিসারীর পাড় থেকে মাথা বিহীন একটি অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধারকরে পুলিশ।পরে নিহত সাজুর স্বজনরা খবর পেয়েমুক্তাগাছা থানায় গিয়েসাজুর মরদেহ সনাক্ত করেন। একইদিন বিকেলে নিহত সাজু’র ভাই মোঃ ইসলামবাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শকমোঃ মনিরুজ্জামান ও এলআইসি শাখার এস.আই জুয়েলকে।
নিহত সাজুমোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না। ফলে আসামি সনাক্ত ও গ্রেফতারে জটিলতাদেখা দেয়।পরেডিবি’র ওসি মোঃ শাহ কামান আকন্দ, এস আইমনিরুজ্জামান ও এস.আই জুয়েল ছদ্মবেশ ধারণ করে মুক্তাগাছার উপজলারগড়বাজাইল লাকা থেকে বাবুল মিয়াকে তিন দিন চেষ্টার পর শনিবার (০৬এপ্রিল) গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।