সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন আইনজীবীরা। রোববার সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের সামনে গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনজীবী আন্দোলনের ব্যানারে প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে শতাধিক আইনজীবী অংশ নেন।
বেলা ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত প্রতিকী অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আইজীবীরা অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান। বক্তারা বলেন, টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া দেশের প্রত্যেকটি মানুষ জানে খালেদা জিয়া নির্দোষ। খালেদা জিয়া নিষ্পাপ। তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিন। সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার সভাপতিত্বে প্রতিকী অনশনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, মহাসচিব অ্যাডভোকেট এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার রাজা, সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমদ, ব্যারিস্টার আকবর আলী, মীর সিরাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের মহাসচিব আইয়ুব আলী আশ্রাফী, কো-চেয়ারম্যান ওয়াছিল উদ্দিন বাবু, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, জাতীয় যুব আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফারুক হোসেন, মো: সাফিউর রহমান, প্রথম যুক্ত মহাসচিব মো: আনিছুর রহমান খান, সুপ্রিম কোর্ট বারের সহ-সম্পাদক শরীফ ইউ আহমেদ, এনএলসির সভাপতি অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী জুনু, মহাসচিব হেমায়েত উদ্দিন বাদশা, মাসুদ রানা, মাসুদুল আলম দোহা, জহিরুল ইসলাম, সালমা সুলতানা সোমা, আবদুল্লাহ আল বাকী প্রমুখ।
গিয়াস উদ্দিন আহমদ বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে গণযোয়ার সৃষ্টি করতে হবে। রাজপথে নামতে হবে। সুষ্ঠু আন্দোলন করে তাকে মুক্ত করতে হবে। আমরা গোটা দেশে তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে চাই। একজন ৭৪ বছরের অসুস্থ নারীকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, আজকে এই অনশন প্রমাণ করে বিচার বিভাগের ওপর অনাস্তা। আন্দোলনের মাধ্যই খালেদা জিয়া জেল থেকে বের হয়ে আসবেন।