স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশে নিরাপত্তার কোন ধরনের ঘাটতি কিংবা অভাব নেই। আমাদের দেশে রেড এলার্ট-এর মতো কোন ঘটনা এখনও ঘটেনি।
রোববার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরে পুলিশ স্টাফ কলেজ অব বাংলাদেশ প্রাঙ্গণে ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম : সার্ক দৃষ্টি কোন এর ৬ষ্ঠ সার্ক কোর্সের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে রেড এলার্ট ঘোষণা করেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে নিরাপত্তার কোন ঘাটতি নেই। দেশে রেড এলার্ট-এর মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ নয়। এ ধরনের মতো কোন অবস্থা সৃষ্টি হয়নি। বাংলাদেশে রেড এলার্ট ভিত্তিহীন।’
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, বাংলাদেশের চরমপন্থীরা দুর্বল হয়ে গেছে। বাংলাদেশে একসময় চরমপন্থীরা ছিল। সে সময়ে তারা বিভিন্ন ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি করতো। এখন তারা অনেকটা দুর্বল হয়ে গেছে। তারা এখন নিজেরাই তো শিকার করে আতœসমর্পণ করছে।
পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের রেক্টর রৌশন আরা বেগমের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. মোস্তফা কামাল উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে সার্কভুক্ত দেশসমূহের ২০ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদায় কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও সিআইডি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এব্যাপারে তারা কোন আবেদন করেননি। কোন আবেদন আসেনি। তাই সলিউশন দেয়ার কোন স্কোপ নাই।
মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ তাদের পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করছে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে আরো বেশি শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, আগামীতে এ বাহিনীর সদস্যরা অপরাধ দমনে কাজ করছে। সার্কভুক্ত কোর্সটি ডায়নামিক নলেজ। এটি বাংলাদেশের পুলিশের জন্য এক ধরনের চ্যালেন্স।
কোর্সটি রোববার (৭ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়ে আগামী ১৮ এপ্রিল (দুই সপ্তাহ) ব্যাপী চলবে। কোর্সটিতে ভারত থেকে ২ জন, ভুটান থেকে ২ জন, মালদ্বীপ থেকে ২ জন এবং বাংলাদেশ থেকে ১৪ জনসহ মোট ২০ জন পুলিশ কর্মকর্তা অংশ গ্রহন করেছেন।
কোর্সের প্রধান উদ্দেশ্য হচেছ- সার্ক অঞ্চলে বহুজাতিক অপরাধ মোকাবেলা, প্রচলিত পেশাগত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, সার্কভুক্ত দেশসমূহের কর্মকর্তাদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং সর্বোত্তম পুলিশী সেবার অনুশীলন সম্পর্ক্যে মতবিনিময়।