‘কেউ যদি রাজপথ থেকে পালিয়ে যাই তবে আমাদের জুতাপিটা করবেন’

বিএনপির গণঅনশনে অংশ নেয়া বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের অধিকাংশ নেতা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজপথে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি চান।

গণঅনশনে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেয়া নিচের সারির অধিকাংশ নেতা বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, রাজপথে আন্দোলন চাই।

ঢাকা মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন তার বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা লন্ড্রি করা সাদা জামা পরে আমাদের সামনে বক্তব্য দেন। কিন্তু কখনো বলেন না- আসেন রাজপথে মিছিল করি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে যারা উপস্থিত হয়েছি তারা সবাই খালেদা জিয়ার কর্মী। আমরা সবাই এখানে দেশনেত্রীর মুক্তি চাই। কিন্তু কোনো অনুষ্ঠানে যখন খালেদা জিয়ার মুক্তির স্লোগান দেয়া হয়, তখন আপনারা আমাদের থামিয়ে দিয়ে বলেন, বক্তব্যের সমস্যা হচ্ছে। আজ আমি বলছি, আমরা কেউ আপনাদের বক্তব্য শুনতে আসিনি। আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। আজ সারাদিন এখানে দেশনেত্রীর স্লোগান দেয়া হবে, আমরা আশা করবো আপনারা বাধা দিবেন না।’

এরপর প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলে তাদের স্লোগান। চাওয়া হয় খালেদা জিয়ার মুক্তি।

গোলাম মাওলা শাহিন বলেন, ‘বক্তব্য অনেক হয়েছে, এবার রাজপথে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কেউ যদি রাজপথ থেকে পালিয়ে যাই তবে আমাদের জুতাপেটা করবেন। কিন্তু ঘরে বসে কথা না বলে রাজপথে আন্দোলনের ঘোষণা দিন।’

দলের চেয়ারপারসন কারাবন্দি ও অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে গণঅনশন করছে বিএনপি।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া এ গণঅনশন উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিউটিটের হলরুম বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী দিয়ে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়।

গত বছরের ৮ এপ্রিল থেকে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবন্দী আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। কারাবন্দি খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। তারা খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসা দেয়ার বিষয়ে আগ্রহী নয়। বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। তবে সরকার তাকে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসার দেয়ার বিষয়ে বারবার বলে আসছে।

গত বছরের ৬ অক্টোবর চিকিৎসকদের পরামর্শে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নেয়া হয় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে। ৮ নভেম্বর তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়। তবে বিএনপি অভিযোগ করে আসছে তাকে চিকিৎসা শেষ না করেই ফিরিয়ে নেয়া হয়।

সর্বশেষ গত ১ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে পুনরায় বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। এখনো তিনি সেখানেই আছেন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top