বেশ কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ জাতীয় দলের জন্য দুঃসংবাদ বয়ে আনল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ইনজুরি। তেমন গুরুতর নয় বলে কিছুটা স্বস্তিও ছিল। জানা গিয়েছিল বিশ্বকাপের আগেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবেন তিনি। হলোও তাই। গত কয়েক দিন থেকেই মাঠে নিয়মিত মুখ মাহমুদুল্লাহ। নিয়ম মেনে রানিং-জিম করছেন। গতকাল দুপুরে অ্যাকাডেমি মাঠে দেখা গেল ব্যাট হাতে। তার সাময়িক ব্যাটিংয়ে জাতীয় দলে স্বস্তির বাতাস।
হঠাৎ করেই শোনা গিয়েছিল কাঁধের ইনজুরিতে পড়েছেন রিয়াদ। সাধারণত ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে এ ধরনের ইনজুরি দেখা যায়। পেস বোলাররাই এই চোটের শিকার হন বেশি। তাইতো টাইগার সমর্থক, বিসিবির নির্বাচক থেকে শুরু করে রিয়াদ নিজেও অনেক ভয় পেয়েছিলেন। বিশ্বকাপ বলেই যে ভয়টা বাসা বেঁধে ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইনজুরি নিয়ে কথা বলেছিলেন রিয়াদ। ভয় পাওয়ার কথা অকপটে স্বীকার করেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি কিছুটা ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু যখন বিসিবির ফিজিও ও চিকিৎসকের সাথে কথা হলো তখন বুঝলাম না বেশি সমস্যা নেই। পুনর্বাসন ও কিছু নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমে এটা থেকে দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠতে পারব।’
২১ দিনের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে বলা হয়েছে রিয়াদকে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলার সাথে তার কাঁধের চোটের উন্নতি হচ্ছে বলেই জানান তিনি, ‘কাঁধের বর্তমান অবস্থা আলহামদুলিল্লাহ। এ মুহূর্তে ঠিকঠাকই আছে। পুনর্বাসনের কাজটা আরম্ভ করেছি ইতোমধ্যে। রানিংও করছি। সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হচ্ছে যে, আমার ব্যাটিংয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
গত ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণের নায়ক ছিলেন মাহমুদুল্লাহ। দলের বিপদে বহুবার ঢাল হয়ে দাঁড়ানো এই ব্যাটিং অলরাউন্ডারের দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা তাই গোটা দেশের জন্যই স্বস্তির খবর।
নিউজিল্যান্ড সফর থেকে কাঁধে তীব্র ব্যথা নিয়ে ফিরেছিলেন মাহমুদুল্লাহ। দেশে ফেরার পর এ দিনই প্রথম ব্যাট করলেন। অ্যাকাডেমি মাঠের নেটে ব্যাট করলেন প্রায় ৪০ মিনিট। পেস-স্পিন সবই খেলেছেন। ব্যাটিংয়ের পর জানালেন, ‘কোনো অস্বস্তি ছিল না। শতভাগ এফোর্ট দিয়েই ব্যাট করেছি। ব্যথা নেই, কোনো সমস্যা হয়নি।’
নেটে ব্যাটিংয়ের সময় কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করেছেন বিসিবির ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম। তিনিও সন্তুষ্ট। আপাতত এভাবেই নিয়মিত ব্যাটিং করবেন রিয়াদ। তবে জানালেন, বোলিং শুরু করতে সময় লাগবে আরো। কাঁধের চোটের কারণে সমস্যা হচ্ছে মূলত বোলিং আর থ্রোয়িংয়ে। নিউজিল্যান্ড থেকে ফেরার পর বিশ্রামের দিনগুলো ইচ্ছামতো কাটিয়েছেন। কোনো ডায়েট মানেননি। তাতে ওজন বেড়েছে ৩-৪ কেজি।
তার কথায়, ‘ওজনটা একটু বেড়ে গেছে। বাড়তি ওজন কমাতে হবে। এখন থেকে অনুশীলনে নিয়মিতই থাকতে চাই।’