প্রতিবন্ধী নারী অথবা মেয়ে শিশু নির্যাতনের শিকার হলে তাদের বিচার চাইতে গেলে পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নমুখী নির্যাতনের শিকার হতে হয়। আর এজন্য প্রতিবন্ধী নারী নির্যাতনের বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের আহবান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।
‘বিচার ব্যস্থায় প্রতিবন্ধী নারী প্রবেশগম্যতর ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সংলাপে শনিবার এদাবি উঠে আসে বিশিষ্টজনের পক্ষ থেকে এদাবি উঠে আসে। ওমেন উইথ ডিসাবেলিটিস ডেভোলাপমেন্ট ফাউন্ডেশন ( ডাব্লিউডিডিএফ)’আয়োজনে ডেইলি স্টার ভবনের আজিমুর রহমান কনফারেন্স হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত এ্যরোমা দত্ত এমপি।
দীপ্ত ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া কে হাসান, ইউ এনের দেশীয় প্রতিনিধি মিস সুকো ইসিকাওয়া, আইন ও শালিস কেন্দ্র’র নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা। সংলাপের স্বাগত বক্তব্যে ব্লিউডিডিএফ’র চেয়ার পার্সন শিরিন আক্তার। সংলাপ সঞ্চালনা ও মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাব্লিউডিডিএফ’র নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন নাহার মিষ্টি ।
এ্যারেমা দত্ত এমপি বলেন, প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে কঠোর ও যৌক্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা অতি জরুরী। তিনি বলেন প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার বাস্তবায়নে তিনি এবং তার সরকার আন্তরিক। তিনি আয়োজন সংগঠন ডাব্লিউডিডিএফকে বলেন সমস্ত আলোচনার একটি সুপারিশ পত্র তৈরী করে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্টিয়ারিং কমিটিতে উপস্থাপন করতে। এ বিষয়ে তিনি সমাগ্রিক সহযোগিতা করবেন।
অপরদিকে এর আগে শিরিন আক্তার বলেন, প্রতিবন্ধী নারীদের নিয়ে কাজ করতে যেয়ে বাধার সম্মুখীন হই বিশেষতঃ বিচার ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধী নারীদের বিচার পাওয়ার জন্য তা এককভাবে কাজ করে সমাধান করা সম্ভব নয়। আইন এর অপর্যাপ্ততা না থাকলেও আইনের মধ্যে প্রতিবন্ধী নারীদের বিচার প্রক্রিয়া কেমন হবে? সে বিষয়ে স্পষ্টতা নেই। যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান আইনি সেবা প্রদান করেন, আশ্রয় প্রদান করেন ও যে সকল সেবা সংস্থা এই বিষয়ের সাথে জড়িত তাদের সংশ্লিষ্টতা প্রতিবন্ধী নারীদের বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন এজন্য গণমাধ্যম ও অন্যান্য সেবা প্রদানকারী সংস্থা যদি আন্তরিক ও সার্বজনীন সেবা ও সহযোগিতা প্রদান করে তাহলে হয়তো বিচার পাওয়া সহজ হবে।
মুল প্রবন্ধে আশরাফুন নাহার মিষ্টি বলেন, গণমাধ্যমের প্রতি আবেদন থাকে যে সমাজের অসামজ্ঞস্য ও অসঙ্গতি তুলে ধরার পাশাপাশি বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী নারীদের পক্ষে আইনের প্রয়োগ ও ব্যতয় সমূহ নিরীক্ষা আকারে প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচার করা।
নিপীড়িত ও সহিংসতার শিকার নারীদের সহায়তা ও সেবা প্রদানকারী সংস্থাসমূহ এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ আইনি সহায়তা প্রদানকারী বেসরকারী সংস্থাসমূহ, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় কর্মরত সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও নারীদের নিয়ে কর্মরত সংগঠনসমূহ, ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাসমূহ যেন প্রবেশগম্য অবকাঠামো ও তথ্য সেবাসমূহ প্রাপ্তি নিশ্চিত করে এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও সেবা প্রদানকারী ব্যক্তিবর্গ কর্মে নিযুক্ত করে সে বিষয়ে উল্লেখ করে।
অপরদিকে উপস্থিত সংবাদ কর্মীরা উপস্থাপিত পেপারের সাথে একমত পোষণ করেন এবং প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীসহ তাদের প্রতি প্রতিবন্ধী নারীদের দায়িত্বের কথা শিকার করে নেন। সংলাপের প্রধান অতিথি মাননীয় সংসদ সদস্য