ক্রীড়া জগতের অনেক তারকাই আত্মজীবনীমূলক বই লিখেছেন। সেটি ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিস, হকি কাবাডি কিংবা কুস্তি অনেক খেলোয়াড়ের রয়েছে এমন বই। খেলোয়াড়ি জীবনের ঘটনাবহুল তথ্য ও ব্যক্তিগত জীবনের রসায়ন মিশ্রিত ছাপার অক্ষরে তুলে ধরেন পাঠক-সমার্থকের জন্য। এমনই আত্মজীবনীমূলক বই লিখকের তালিকায় নতুন করে যুক্ত হলেন এক পাকিস্তানি ক্রিকেটার। পিতা-মাতা রেখেছেন সাহেবজাদা মোহাম্মদ শহীদ খান আফ্রিদি। কিন্তু ক্রিকেটবোদ্ধাদের দেওয়া ‘বুম বুম’ নামেই তাকে ভক্তরা অনেক বেশি ডাকেন ও চেনেন।
পাঠক এতক্ষণে হয় তো বুঝে নিয়েছেন কার কথা বলা হয়েছে, পুরো বিশ্বে এক নামে পরিচিত পাকিস্তানের ক্রিকেট তারকা শহীদ আফ্রিদির কথাই বলা হচ্ছে। ক্রিকেটে অসম্ভবকে সম্ভব করাই ছিল তার কাজ। বোলারদের উপর ছড়ি ঘুরিয়ে, এক হাতে চেঞ্জ করে দিতেন খেলার ধরন। ব্যক্তিগত জীবনেও আফ্রিদি অনেক সফল মানুষ। সেই আলোকেই ক্রিকেটীয় এবং ব্যক্তিগত জীবনের ধরণের সাথে মিল রেখে আত্মজীবনীর নামটাও রেখেছেন, ‘গেম চেঞ্জার’।
ভক্তকূল ৩০ এপ্রিল থেকে প্রিয় খেলোয়াড়ের আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার’ বইটি বাজারে পাবেন। বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে ক্যারিয়ারের অনেক ঘটনা, যা ভক্তরাও অজানা। তুলে ধরা হয়েছে, বিভিন্ন চিত্রাকর্ষক অভিজ্ঞতা ও বিতর্কিতবিষয়গুলো পাঠকের জন্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
পাকিস্তানের বহুল আলোচিত টিভি উপস্থাপক ও সম্প্রচারকর্মী ওয়াজাহাত খান আত্মজীবনী লেখার কাজে আফ্রিদিকে সহযোগিতা করেছেন। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এই মারকুটে ব্যাটসম্যানের অনেক অব্যক্ত কথা প্রকাশ পেতে যাচ্ছে এই বইতে।
১৯৯৬ সালে অভিজ্ঞ স্পিনার মুশতাক আহমেদের ইনজুরির কারণে মাত্র ১৬ বছর বয়সে দলে ডাক পান আফ্রিদি। অভিষেক একজন লেগস্পিনার হিসেবে দলে নেয়া হলেও, ব্যাট চালিয়ে খেলতেই বেশি উপভোগ করতেন আফ্রিদি। বিশাল বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে বনে যান ছাক্কার রাজাও। ১৯৯৭ সালে নাইরোবিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক ওডিআইতে তিন নাম্বার পজিশনে ব্যাট করার সুযোগ পান এই হিটার। সেই ম্যাচেই খেলেন অবিশ্বাস্য ৩৭ বলে দ্রুততম ষেঞ্চুরি করার রেকর্ড। তার এই রেকর্ডটি ১৭ বছর পর্যন্ত কেউ ভাঙ্গতে পারেনি।
পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন ২৭টি টেস্ট, ৩৯৮ টি ওডিআই ও ৯৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন আফ্রিদি। ব্যাট হাতে ১১ হাজার ১৯৬ রানের পাশাপাশি নিয়েছেন ৫৪১টি আন্তর্জাতিক উইকেট। ঝুলিতে রয়েছে ১১টি শতক ও ৫২টি অর্ধশতক। তিন ফরম্যাটে ছক্কা রয়েছে ৪৭৬টি। গৌরব অর্জন করেন পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের নেতৃত্ব দেয়ার।
২০ বছরের আন্তার্জাতিক ক্যারিয়ারসহ ব্যাক্তিগত ৩৯ বছর জীবনের অনেক জানা-অজানা ঘটনার সাক্ষী এই বই। বইটি পেতে ভক্তদের অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুদিন।