‘টিক টক’ নিষিদ্ধের নির্দেশ দিল ভারতের আদালত

তরুণদের কাছে জনপ্রিয় অ্যাপ ‘টিক টক’-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, এটি ব্যবহার করে নাকি পর্নোগ্রাফি ছড়ানো হচ্ছে। এই দাবির ভিত্তিতে ভারতের তামিলনাড়ুর একটি আদালত এই অ্যাপ নিষিদ্ধ করার আদেশ দিয়েছে।

ছোট ছোট ভিডিওতে নানা রকমের ‘ফিল্টার’ বা পর্দা চাপিয়ে তাক লাগিয়ে দেওয়া যায় ‘টিক টক’ অ্যাপের সাহায্যে। বর্তমান বিশ্বের প্রায় সব দেশেরই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় এই চীনা অ্যাপ। ভারতেও এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।

নাচ-গান, নানা রকমের কৌতুকের পাশাপাশি মাঝে মাঝে সাহসি দৃশ্যও একে অন্যের সাথে ভাগ করে নেয় এই অ্যাপ-ব্যবহারকারী ভারতীয় তরুণরা।

ইতোমধ্যে, ‘টিক টক’-এর জনপ্রিয়তা ঠেকাতে ভারতীয় জনতা পার্টি অর্থাৎ বিজেপি’র ঘনিষ্ঠ একটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন এই অ্যাপ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে এই বিষয়ে দাখিল হয়েছে একটি ‘পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন’ বা জনস্বার্থ মামলা। মামলাকারীর বক্তব্য, এই অ্যাপে ছড়ানো ভিডিও শিশুদের জন্য ক্ষতিকর এবং ডেকে আনতে পারে যৌন হয়রানির মতো গুরুতর অপরাধ।

বুধবার মামলাকারীর পক্ষে রায় ঘোষণা করে তামিলনাড়ুর আদালত। এটাও বলা হয় যে এই অ্যাপের মাধ্যমে শিশুরা না বুঝে সহজেই অপরিচিত মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এছাড়া, এই অ্যাপে যে ধরনের ভিডিও ছড়ানো হয় তা অবাঞ্ছনীয় ও অসঙ্গত।

বিতর্কিত, অথচ জনপ্রিয়
টিক টক অ্যাপের বৈশিষ্ট্য এর সহজ ইন্টারফেস। ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য অ্যাপের মতো একাধিক প্রয়োগ না থাকায় খুব সহজেই মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে এটি।

শুধু ভারতেই এই অ্যাপটি ডাউনলোড করা হয়েছে ২৪ কোটি বার, যা অন্যান্য অ্যাপের চেয়ে অনেক বেশি। অনুপযুক্ত ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগ বিষয়ে ‘টিক টক’-এর এক মুখপাত্র সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে যে, তারা স্থানীয় আইন মেনেই চলবে।

ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এবিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top