সন্ধ্যায় মুম্বাইতে ম্যাচ জেতালেন আইপিএলে নিজের দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে, ম্যাচ শেষ করেই চড়েছেন বিমানে। পরদিন সকালে দেশে ফিরেই মাঠে নামেন ঘরোয়া একটি ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলতে সেখানে আবার নিজেই অধিনায়ক দলটির। আগের দিন আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে হাইভোল্টেজ ম্যাচ খেলা কিংবা মুম্বাই থেকে গলের দীর্ঘ বিমান ভ্রমণের ক্লান্তি কিছুই কাবু করতে পারেনি লাসিথ মালিঙ্গাকে। গলের সেই ম্যাচেও প্রতিপক্ষকে গুড়িয়ে দিয়ে ম্যাচ জিতিয়েছেন। একাই নিয়েছেন ৭ উইকেট।
আইপিএলে এবারো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলছেন লঙ্কান পেসার মালিঙ্গা। গত বুধবার রাতে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আইপিএলের ম্যাচ ছিলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে। সে ম্যাচে বল হাতে ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন মালিঙ্গা। চেন্নাইয়ের ব্যাটিং অর্ডারের তিনটি বড় নাম শেন ওয়াটসন, ডোয়াইন ব্রাভো ও কেদার যাদবকে আউট করে দলকে ৩৭ রানের জয় এনে দেন।
কোথায় ম্যাচ জিতে একটু আনন্দ করবেন সেই সুযোগ মেলেনি, রাতেই চড়তে হয়েছে বিমানে। উড়ে গেছেন আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরে। বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে মালিঙ্গাকে যেতে হয়েছে নিজ শহর গলে। সেখানে প্রাদেশিক টুর্নামেন্টে ক্যান্ডির বিরুদ্ধে গলের দলের অধিনায়কত্ব করেছেন মালিঙ্গা। আগে ব্যাট করে তার দল কুশল মেন্ডিসের হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৫৫ রান সংগ্রহ করে। ব্যাট হাতে মাত্র ২ রান করেন মালিঙ্গা। তবে এই রান তাড়া করতে নেমে মালিঙ্গার সামনে দাড়াতেই পারেনি ক্যান্ডি দল। ২৫ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর ৪০ রানে হারায় পঞ্চম উইকেট। এই ৫ উইকেটর সবগুলোই নিয়েছেন মালিঙ্গা। শেষ দিকে নিয়েছেন আরো ২টি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ রানে অলআউট হয়েছে দিমুথ করুনারত্নের দল। মালিঙ্গা ৭ উইকেট নিয়েছেন ৪৯ রানে।
মাঝখানে গত কয়েক বছর কয়েক দফা ইনজুরির ধকল কাটিয়ে গত এশিয়া কাপে জাতীয় দলে ফিরেছেন মালিঙ্গা। এরপর থেকেই দারুণ ছন্দে আছেন এই পেসার। এখন শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বও তার কাঁধে। বিশ্বকাপেও তারই নেতৃত্বে খেলতে পারে দলটি। বর্তমানে যে ফর্মে রয়েছেন মালিঙ্গা তাতে বিশ্বকাপের মাঠে তাকে আবার পুরনো রূপে দেখা যেতে পারে। আর সেটি বিপদ ডেকে আনতে পারে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যনাদের জন্য।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ২১৮ ওয়ানডেতে ৩২২ উইকেট নেয়া মালিঙ্গা এক সময় পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন ‘ভয়ঙ্কর’ বোলার হিসেবে। বিশেষ করে ডেথ ওভারে একের পর এক ইয়র্কার ডেলিভারিতে তিনি ছিলেন অতুলনীয়। তবে ইনজুরি তার ক্যারিয়ারের অনেকটা সময় কেড়ে নিয়েছে। ইনজুরির কারণে ২০১০ সালেই মাত্র ৩৮ টেস্ট খেলে বিদায় জানিয়েছেন সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে। বয়স ৩৬ প্রায়। আসছে বিশ্বকাপের হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন গলের এই পেসার। তার আগে ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে শ্রীলঙ্কাকে এনে দিয়েছেন অনেক আনন্দের মুহূর্ত।