গত দুই মাসে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বিশ্ব নেতৃত্বে নিজের জন্য পৃথক একটি স্থান তৈরি করেছেন। সম্প্রতি নতুন করে আবারো প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি জেসিন্ডা গিয়েছিলেন একটি সুপারমলে। সেখানে লাইনে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এমন সময় সামনে দাঁড়ানো এক নারী বিল দিতে গিয়ে দেখেন তিনি তার পার্স আনেন নি। এ সময় তিনি খুবই বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন। কারণ তার সাথে থাকা দুই বাচ্চাও কান্না জুড়ে দিয়েছিল। সেই অবস্থায় জেসিন্ডা নিজেই ওই নারীর বিল মিটিয়ে দেন।
আজ বৃহস্পতিবার তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি এ বিষয়ে বলেন, আমি ওই নারীর সাহায্যে এগিয়ে গিয়েছি। কারণ ওই নারী একজন মা, আর আমিও তো একজন মা।
বিষয়টি অবশ্য আগেই সামাজিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। কারণ ওই নারীর এক বান্ধবী হেলেন বারনেস বিষয়টি আগেই সেখানে শেয়ার করেন। তিনি বলেন, সুপারমার্কেটে আমার বান্ধবী কেনাকাটা করার পর সে দেখতে পায় তার পার্স আনেনি। সে সময় তার দুই শিশু সন্তানও কাঁদছিল। তখন আরডার্ন এসে তার পক্ষ থেকে বিল পরিশোধ করেন।
হেলেনের এ ঘটনা সেখানে ভাইরাল হয়ে যায়। সবাই আরেকবার নতুন করে জেসিন্ডা আরডার্নের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে পড়ে।
আটত্রিশ বছর বয়সী আরডার্ন গত জুনে এক কন্যা সন্তানের মা হন। দায়িত্বরত অবস্থায় মা হওয়ার দিক দিয়ে জেসিন্ডা বিশ্বের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী। নেভে নামের ওই শিশুকে নিয়েই তিনি নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে অংশ নিয়েছিলেন।
ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ খুবই প্রশংসিত হয়। তিনি যেমন সাথে সাথেই মুসলমানদের পাশে এসে দাঁড়ান, তাদের ব্যথায় সহানুভূতিশীল হন, ঠিক তেমনি সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। একই সাথে হামলায় ব্যবহৃত সব ধরনের অস্ত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
সব মিলিয়ে তার পদক্ষেপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয় পুরো বিশ্ব। এমনকি নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয়তে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও এমন একজন নেতা চাই।