সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে চলাফেরাও করছেন তিনি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সোমবার রাতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান তার ফেসবুকে ওবায়দুল কাদেরের একটি ছবি পোস্ট করেছেন।
সেখানে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক এবং মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভাই ক্রমেই সুস্থ্য হয়ে উঠছেন।
তার রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস-ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রিয় নেতার স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিতে গিয়ে এমন সুখবরই দিলেন প্রিয় নেতার সহধর্মিনী এডভোকেট ইসরাতুন্নেসা কাদের ভাবী। প্রিয় নেতার সাথে তার কেবিনে সাক্ষাত হলো, কথা হলো। সেই মূহুর্তগুলো ছিলো ভাষাহীন।
পরস্পরের দিকে আমরা তাকিয়ে। টানা এক মাসের উৎকণ্ঠায় থাকা মনটা কখন আবেগে তলিয়ে গেছে- খেয়াল করিনি। হটাৎ খেয়াল করলাম, চোখ দুটো ভিজে গেছে। অশ্রু সজল কাদের ভাইও। তার মলিন মুখে স্ফীত হাসি দেখে মনে মনে আল্লাহকে স্মরণ করলাম। সকৃতজ্ঞতায় বললাম, আল্লাহ আপনিই একমাত্র ভরসা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (উন্নয়ন এবং পরিকল্পনা) এবং নিওরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী ভাই জানালেন, মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামির নেতৃত্বে কাদের ভাইয়ের বাইপাস সার্জারীর পর আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করার পর এখন বেশ ভালো আছেন দেশ বরেণ্য প্রিয় নেতা কাদের ভাই।
উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি হলে এনজিওগ্রামে কাদেরের হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করেন চিকিৎসকরা।
অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। ওইদিন রাতেই মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা শুরু করেন মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
সেখানে আইসিইউতে কয়েকদিন রেখে চিকিৎসার পর অবস্থার উন্নতি হলে কাদেরকে ১৩ মার্চ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। পরে ২০ মার্চ কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামির নেতৃত্বে কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়।