গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি মারা গেছে। নিহত বন্দির নাম শামসুদ্দিন ওরফে পাঠা শামসু (৬০)। তিনি নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার সোনাচরাবাগ এলাকার মৃত আবুল হাসেম ওরফে হাসুর ছেলে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ সোমবার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মোঃ শাহজাহান আহম্মেদ জানান, নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার একটি হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী শামসুদ্দিন ওরফে পাঠা শামসু ২০১৫ সালের অক্টোবর মাস থেকে এই কারাগারে বন্দি ছিলেন। ওই হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে আদালত ২০০৪ সালের ২৪ অক্টোবর তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেন। তার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রোববার দুপুরে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করে শামসু কারাভ্যন্তরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারা কর্তৃপক্ষ তাকে প্রথমে কারা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শামসুকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ সোমবার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শামসুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ইরশাদুল্লাহ জানান, রোববার দুপুর সোয়া ২টার দিকে শামসুদ্দিনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।