বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, আন্দোলণ- গণতন্ত্র-মানবাধিকার যে কথাই বলেন না কেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিকে আমাদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে যদি আমরা মুক্ত না করতে পারি সব গণআন্দোলন ধুলিষ্যাৎ হয়ে যাবে। তাই খালেদা জিয়ার মুক্তিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই মুহুর্তে আমাদের গণআন্দোলনে নামতে হবে।
তিনি বলেন, ভালো বক্তব্য দিয়ে হবে না। আন্দোলন না করতে পারলে সরে দাঁড়ান। দেশের তরুণ সমাজের হাতে নেতৃত্ব দেন। যারা রাজপথ উত্তপ্ত করতে পারবে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারবে, তাদের হাতে দায়িত্ব দিয়ে চলে যান। আমরা ব্যর্থদের নেতৃত্ব চাই না।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে চেতনা বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, তিন মাস ধরে বেগম খালেদা জিয়াকে কোনও চিকিৎসা দেয়া হয় না। অথচ আমরা ভালো বক্তব্য দিয়ে বেড়াই। সময় খুবই কম। আমরা বক্তব্য শুনতে চাই না; রাজপথ উত্তপ্ত করতে চাই। রাজপথ উত্তপ্ত করতে যা করা দরকার, আমাদের নীতিনির্ধারকরা আশা করি তাই করবেন।
রাজপথ উত্তপ্ত করা ছাড়া খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না উল্লেখ করে খন্দকার মাহবুব বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে রাজনৈতিক কারণে। তাকে মুক্ত করতে হবে রাজনৈতিকভাবে। আইনিভাবে তাকে মুক্ত করা যাবে না।
তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট ২৭-২৮ তারিখে যখন ঢাকায় সমাবেশ করতে চেয়েছিল, পুলিশ দেয়নি। আর আমরা ভয়ে গর্তে ঢুকে গেছি। কেন আমরা সেদিন বেরিয়ে আসিনি? আমি আমার নীতি নির্ধারকদের বলবো, এর ব্যর্থতা আপনাদের নিতে হবে এবং জনগণকে এর জবাব দিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বনানীর ওই বিল্ডিং এ যারা ছিলেন, তারা মৃত্যুকূপে অবস্থান করেছিলেন। এই দেশে মানুষের মৃত্যুর কোনও গ্যারান্টি নেই। বাসের কন্ডাক্টর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, আর তার ওপর ড্রাইভার চাকা তুলে দেয়। ঢাকাসহ সারা দেশে যত ড্রাইভার আছে তাদের অর্ধেকেরও লাইসেন্স নাই। বলবেন কাকে, লাইসেন্স ছাড়া তো সরকারিই ক্ষমতা দখল করে আছে।
চেতনা বাংলাদেশে এর সভাপতি ও দোহার উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা রহিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, মোশারফ হোসেন প্রমুখ।