এবার ভারতের কারণে নোংরা হতে পারে মহাশূন্য

যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান সতর্ক করে বলেছেন, কোনো জাতি ভারতের মতো অ্যান্টি স্যাটেলাইট অস্ত্র পরীক্ষা চালালে মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহের টুকরোগুলো বিক্ষিপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টির ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওই পরীক্ষাকার্যক্রম খতিয়ে দেখছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল ফ্লোরিডায় মার্কিন সেনাবাহিনীর সাউদার্ন কমান্ড পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

শানাহান বলেন, ভারতের দাবি অনুসারে কৃত্রিম উপগ্রহ ধ্বংসের ঘটনার ফলাফল পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের দাবি, তারা পৃথিবীর নিচের দিকের কক্ষপথে ওই পরীক্ষাটি চালিয়েছে, যে কারণে ধ্বংসাবশেষ অল্প সময়ের মধ্যেই নিঃশেষ হয়ে যাবে। ‘মিশন শক্তি’ নামের এ পরীক্ষার মাধ্যমে ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাশূন্যে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে উপগ্রহ ধ্বংসের পারদর্শিতা প্রমাণ করল। ২০০৭ সালে একই রকম পরীক্ষা চালিয়ে চীনও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্বিগ্ন করেছিল।

শানাহান বলেন, ‘আমার বার্তা হচ্ছে আমরা সবাই মহাশূন্যে থাকি, একে যেন নোংরা না করি। মহাশূন্য হতে পারে এমন একটি স্থান, যেখানে আমরা ব্যবসা করতে পারব। মহাশূন্য এমন একটি স্থান যেখানে মানুষের (উপগ্রহ) চালানোর স্বাধীনতা থাকতে হবে।’

এ ধরনের পরীক্ষার পর মহাশূন্যে যে ধরনের ধ্বংসাবশেষ থাকে তা সামরিক-বেসামরিক উপগ্রহ পরিচালনায় বাধা হয়ে উঠতে পারে। ভারত যদিও বলছে, ধ্বংসাবশেষ না রাখতে তারা তাদের ‘মিশন শক্তি’ পরীক্ষাটি করেছে বায়ুমণ্ডলের নিচের অংশে, ৩০০ কিলোমিটার উচ্চতায়। এরপরও যেটুকু থাকবে তা ‘ক্ষয়প্রাপ্ত’ হয়ে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পৃথিবীতে ফিরে আসবে। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই নয়া দিল্লির এ দাবির ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করে বলেছেন, ধ্বংসাবশেষের চলার পথ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।

বুধবার ভারতের পরীক্ষার পর মহাশূন্যে ধ্বংসাবশেষের আড়াই শ’রও বেশি টুকরার ওপর মার্কিন সেনাবাহিনী নজর রাখছে বলে পেন্টাগনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top