বনানীর এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। এসময় তিনি জাতীয় কমিশনের মাধ্যমে বনানীর আগুনের ঘটনা তদন্তের দাবী জানিয়েছেন।
তিনি আজ সকাল ১০ টা ১০ মিনিটে বনানীতে এসে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনার সময় এ কথা জানান।
ড. কামাল হোসেন বলেন, মানুষ এভাবে মারা যাবে এটা হতে পারে না। ভবনের অবশ্যই বহির্গমন পথ থাকতে হবে, যাতে দুর্ঘটনার সময়ে তারা বাইরে বেরুতে পারে। আমরা এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না।
এসময় তার সাথে গণফোরামের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বনানীর এফ আর টাওয়ারের আগুনের ঘটনায় উদ্ধার অভিযান শুক্রবার সকালে আবার শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় হতাহতদের তথ্য জানাতে তথ্য বোর্ড তৈরি করেছে ফায়ার সার্ভিস। পুরে যাওয়া ভবনের পাশেই স্থাপন করা হয়েছে এই বোর্ড। একজন কর্মকর্তা সেখানে প্রতি ঘন্টায় তথ্য আপডেট দিচ্ছেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার সর্বশেষ তথ্য জানাচ্ছেন। নয়া দিগন্তকে তিনি জানান, সকাল ১০টায় উদ্ধার অভিযান শেষ করে মিডিয়াকে ব্রিফিং করা হবে।
বিবিসি জানিয়েছে বনানীতে বহুতল ভবন এফ আর টাওয়ারে বৃহস্পতিবার আগুন লেগে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহত এবং ৭৬ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন দমকল বাহিনীর সিনিয়র স্টেশন অফিসার খুরশীদ আনোয়ার।
আনোয়ার জানান, “আগুন রাতে নিয়ন্ত্রণে আনার পর উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখা হয়, তবে আবার যেন আগুন ছড়িয়ে পরতে না পারে তা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সারারাতই ঘটনাস্থলে ছিল।”
সকাল থেকে আবারো উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।
তবে উদ্ধার অভিযান শেষ হতে কত সময় লাগতে পারে সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেননি মি. আনোয়ার।
ভেতরে এখনো মৃতদেহ পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনাও সম্পূর্ণ নাকচ করে দেননি মি. আনোয়ার।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন এত সময় লাগল – সে প্রশ্নের উত্তরে আনোয়ার বলেন, “একটি বহুতল ভবনের জন্য যেরকম অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা থাকার কথা, সেরকম আমরা দেখতে পাইনি।”
এছাড়া বহুতল ভবনে আগুন নেভানোর জন্য যেসব গাড়ি প্রয়োজন সেগুলো দূর থেকে নিয়ে আসার কারণে এবং রাস্তায় যানজট থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরি হয় বলে জানান আনোয়ার।
পরে এ কাজে দমকল বাহিনীর ১৭টি ইউনিট কাজ করে। সেই সঙ্গে যোগ দেয় অন্যান্য বাহিনীও। পরে তাদের সাথে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী যৌথভাবে কাজ শুরু করে। সাথে স্থানীয় মানুষেরাও যোগ দেন।