আগের দুই ম্যাচে নিজেরা আগে ব্যাট করে ২৮০’র ঘরে রান করেও পাত্তা পায়নি পাকিস্তান, কারণ বোলিং আক্রমণ ছিলো ধারহীন। অস্ট্রেলিয়া কোন বাধা ছাড়াই ম্যাচ জিতে নিয়েছে। তাই তৃতীয় ম্যাচে বোলিং আক্রমণে পরিবর্তন এনে মাঠে নামে পাকিস্তান। পরিবর্তন যে কাজে লেগেছে তা প্রমাণ হয়েছে ইতোমধ্যেই। যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে বোলিং।
আগের দুই ম্যাচে বোলারা যেখানে মাথাকুটে মরেছে উইকেটের জন্য সেখানে বুধবার প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পেয়েছে পাকিস্তান। অজি ওপেনার উসমান খাজাকে ফিরিয়েছেন সিরিজে প্রথম বারের মতো খেলতে নামা বামহাতি পেসার উসমান শিরওয়ানি। এরপর আর অস্ট্রেলিয়াকে আগের দুই ম্যাচের মতো দাপুটে ব্যাটি করতে দেয়নি পাকিস্তানি বোলাররা। আটকে রেখেছে ২৬৬ রানে। ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে এই রান সংগ্রহ করেছে অ্যারন ফিঞ্চের দল। এই ম্যাচেও সেঞ্চুরির কাছে গিয়েছিলেন ফিঞ্চ, তবে ৯০ রানে তাকে ফিরিয়েছেন লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ।
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করতে এই সিরিজে সেরা ৬-৭ জন খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রেখেছে পাকিস্তান। দলের থাকার পরও প্রথম দুই ম্যাচে মাঠে নামানো হয়নি পেসার জুনাইদ খান ও উসমান শিরওয়ানিকে। তবে এদিন তারা একাদশে ফিরে জানান দিয়েছেন শক্তির। প্রায় সবাই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন।
ফিঞ্চ ছাড়া অন্যদের মধ্যে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৭১ ও পিটার হ্যান্ডসকম্ব ৪৭ রান করেছেন। এই ম্যাচ জিতলে ৫ ম্যাচ সিরিজ জয় নিশ্চিত হবে অস্ট্রেলিয়ার। অন্য দিকে সিরিজে টিকে থাকতে হলে পাকিস্তানকে জিততে হবে আজকের ম্যাচ।
আগের ম্যাচে অভিষিক্ত পাকিস্তানি তরুণ পেসার মোহাম্মাদ হাসনাইনের অপেক্ষা আরো বাড়লো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উইকেটের দেখা পেতে। এই ম্যাচেও তিনি থেকেছেন উইকেট শূন্য। ইয়াসির হামিদ, জুনাইদ খান, হারিস সোহেল নিয়েছন একটি করে উইকেট।
আবুধাবির মাঠে আড়াইশোর উপর রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার রেকর্ড খুব কম। তাই পাকিস্তানী ব্যাটসম্যানদের বড় পরীক্ষা দিতে হবে দ্বিতীয় ইনিংসে। আগের দুই ম্যাচে হারিস সোহেল ও নওয়াজের দুটি সেঞ্চুরি এলে অন্য ব্যাটসম্যানরা ছিলেন ব্যর্থ।