জাহাঙ্গীরনগর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব যাচ্ছিলাম লাইনের বাসে। বাসের নাম ‘শুভযাত্রা’। কিন্তু ঘটল অশুভ ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয় গেট থেকে সাভার অতিক্রম করতেই কন্ডাক্টর ভাড়া চাইল। অভিজ্ঞতার কারণে বললাম, পরে দেবো। তবে যা আশঙ্কা করেছিলাম তাই ঘটল। হেমায়েতপুর গিয়ে ড্রাইভার বলল, তারা আর যাবে না। কেন যাবে না? তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। হুড়মুড় করে নেমে যাচ্ছেন যাত্রীরা। যারা ভাড়া দিয়েছেন তাদের দেখলাম ভাড়া ফেরত পাওয়ার চেয়ে দ্রুত ঢাকা যাওয়ার তাগাদা বেশি। অনেক্ষণ অপেক্ষার পরও কোনো বাস না পেয়ে আবারো চেপে বসলাম ‘শুভযাত্রায়’। বাস চলছে। একপর্যায়ে কন্ডাক্টরের সাথে যাত্রীর কথাকাটাকাটি, যা স্বাভাবিক দৃশ্য। কিন্তু অস্বাভাবিক হলো কন্ডাক্টরের সন্ত্রাসের ভাষা। সে যাত্রীকে বলল, মেরে বস্তায় ভরে রাস্তায় ফেলে রাখব। প্রতিবাদ করছে না কেউ। আমার প্রতিবাদী শিক্ষক মন। তাকে বললাম, এই ঔদ্ধত্যের ভাষা কোথায় পাও? তাকে রীতিমতো শাসালাম। এবার সবাই দেখলাম ওকে শাসাচ্ছে। বোঝা গেল, কেউ একজন সাহস করে প্রতিবাদ করলে সেটি গণরূপ নেয়া কোনো কঠিন বিষয় নয়।
নয়া দিগন্তের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা ক্রমবর্ধমানভাবে পরিবহন শ্রমিকদের টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন। তার কারণ, কেবল শিক্ষার্থীরাই প্রতিবাদের সাহস রাখেন। আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, আপনার সাহসের উৎস কী? তাহলে আমারও উত্তর, শিক্ষার্থীরা। এটা খুবই দুঃখজনক যে, মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বাসের হেলপার ও ড্রাইভারদের কারণে মৃত্যুবরণ করেছে।
এর সর্বশেষ উদাহরণ, গত ২৩ মার্চ সিলেট কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র ওয়াসিম আদনানের মৃত্যুবরণ। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, ওই দিন কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে বাসের হেলপার তাকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। এর পরই পেছনের দ্রুতগামী বাস আদনানকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। দেশে অরাজকতা ও নৈরাজ্যের পরিণাম কতটা হলে প্রকাশ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে? সবাই একমত, এটি চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ হত্যাকাণ্ড। এর আগেও এ ধরনের হত্যাকাণ্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে। কয়েক বছর আগে একজন প্রবীণ সাংবাদিককেও একই মর্মান্তিক পরিণতির সম্মুখীন হতে হয়। ওই বাসের হেলপার ও ড্রাইভার পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিতে হত্যার উদ্দেশ্যের কথা স্বীকার করেছে। কিন্তু অবশেষে হয়তো দেখা যাবে, আইনের নানা ফাঁকফোকর দিয়ে তারা বেরিয়ে গেছে। তাদের ওই ঔদ্ধত্যের কারণ যদি কেউ অনুসন্ধান করে তাহলে দেখতে পাবে, এর পেছনে সরকারি দল ও বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন মদদ রয়েছে।
মাত্র কয়েক দিন আগে জেব্রা ক্রসিংয়ে বাসচাপায় মৃত্যুবরণ করেছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী। ঢাকা মহানগর পুলিশের উদ্যোগে ট্রাফিক সপ্তাহ চলাকালে জেব্রা ক্রসিং ব্যবহারে পথচারীদের উদ্বুদ্ধ করতে জোরদার প্রচার চলছিল। আর সেখানেই নিহত হলেন আবরার। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! বিগত নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে তার জোরালো ভূমিকা ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পাশের বাসের সাথে প্রতিযোগিতা করতে থাকা ‘সুপ্রভাত’ বাস তার ওপর দিয়ে চলে যায়। এর প্রতিবাদে ছাত্ররা আন্দোলনে নামে। সেই আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে ঢাকা শহরসহ দেশের অনেক জায়গায় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হলো। এ ধরনের আন্দোলন না হলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে না। শুরু হয় না বিশেষ অভিযান। তবে আন্দোলনের রেশ কাটলেই বন্ধ হয়ে যায় এই অভিযান। নেতা-নেত্রীরা গরম গরম কথা বলেন। আইওয়াশের জন্য অর্থদান, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সান্ত¡না দানও ঘটে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না।
একটি উদাহরণ দিলে বুঝতে সুবিধা হবে। গত জুলাই মাসের তীব্র আন্দোলনের মুখে মালিক সমিতি কর্তৃক সুপ্রভাতসহ পাঁচটি কোম্পানির সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন পরিবহন নেতারা। আবরারের দুর্ঘটনা প্রমাণ করল, বাসগুলো তখনো চলেছে, এখনো চলছে। রীতিমতো চুক্তিতেই চলছে। যে বাসটি আবরার চৌধুরীকে চাপা দেয় সেটির রুট পারমিট ছিল ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পথে। কিন্তু বাসটি চলছিল ঢাকার সদরঘাট-গাজীপুর রুটে। বিভিন্ন অনিয়ম ও ত্রুটির জন্য বাসটির বিরুদ্ধে ২৭ বার আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়। খোদ ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া প্রশ্ন তোলেন, তাহলে বাসটি এত দিন ধরে ঢাকায় চলছিল কী করে? প্রশ্নটি তিনি কাকে করলেন- অবশ্যই ঢাকার নাগরিকেরা সে প্রশ্ন তুলতে পারেন। এর উত্তর গবেষণা করে বের করার দরকার নেই। ক্ষমতাসীনদের আইনকে অবজ্ঞা এবং পদদলিত করার উদাহরণ সহজেই মিলবে।
ঢাক ঢোল পিটিয়ে গত ছয়-সাত মাসে দফায় দফায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা কর্মসূচি পালন করেছে পুলিশ। তাতে অবস্থার কোনো হেরফের ঘটেনি। ওই অভিযান চলাকালে লক্কড়-ঝক্কড় বাসগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ থাকে। লেগুনার চলাচলও প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তারপর যথা পূর্বং তথা পরং। নতুন করে রঙ করা বাস আর আমার উল্লিখিত বাসের সেই হেলপারের মতো বেপরোয়া হেলপার ও ড্রাইভার দেখতে হয় নাগরিক সাধারণকে। দুর্ঘটনা ঘটার পর বিআরটিএর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বাসগুলোর কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। লোক দেখানো এই কাজগুলো সব সময়ই করা হয়। কোনো তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়েছে বলে জানা নেই। রুট পারমিট বাতিল করা নিছক সাময়িক লোক দেখানো ব্যবস্থা।
বাসের হেলপার ও ড্রাইভার গ্রেফতার হয় মাত্র কয়েক দিনের জন্য। তাদের শাস্তি দেয়ার জন্য জনগণের জোর দাবি থাকলেও শাসকদলের ত্রাসের কাছে সে আবেদন মিলিয়ে যায়। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের উদ্যোক্তা নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ড্রাইভারদের কঠোর শাস্তি দাবি করে মাঝে মধ্যেই তোলপাড় তোলেন। দু-এক বছর আগে এই অপরাধে ইলিয়াস কাঞ্চনের বিরুদ্ধে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায়। শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে কাঞ্চনের ছবিতে তারা জুতার মালা ঝুলিয়েছে। তাতে থুথু নিক্ষেপ করেছে। আর এসব কিছুই হয় পরিবহন শ্রমিকদের সর্দার, তৎকালীন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের উপস্থিতিতে। আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে, তাকে সভাপতি করে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠিত হয়েছে। ওই দিন দুপুরে বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআরটিএ ভবনে সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৬তম সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শাজাহান খানকে প্রধান করে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কমিটির সদস্যরা হলেন- সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও পরিবহন মালিকনেতা মশিউর রহমান রাঙ্গা, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, শীর্ষস্থানীয় একজন কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক উসমান আলী। এ ছাড়া ওই কমিটিতে প্রতিনিধিত্বমূলকভাবে রয়েছেন ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির প্রতিনিধি, বিআরটিএ প্রতিনিধি, হাইওয়ে পুলিশের দু’জন ডিআইজি, বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিনিধি এবং ডিএমপির একজন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার। শাজাহান খানকে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কমিটির আহ্বায়ক করাকে হাস্যকর বলেছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি অভিযোগ করেন, এই শ্রমিক নেতার কারণেই সড়কে যত প্রাণহানি ও বিশৃঙ্খলা ঘটেছে।
যখনই সড়কের অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে তখনই তিনি বাধা দিয়েছেন। সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির জন্য এই নেতা অনেকাংশে দায়ী। কাজেই সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার নামে যে কমিটি হয়েছে তা জাতির সাথে তামাশা মাত্র। কমিটি হওয়ার পর গত দু’মাসের সড়ক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হলে রিজভীর কথিত ‘তামাশা’ শব্দটির প্রমাণ মিলবে। প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছে নারী, শিশু, বৃদ্ধ বিশেষ করে শিক্ষার্থীÑ সবাই। এমন কোনো দিন নেই, সড়ক দুর্ঘটনায় ১০-১২ জন মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে না। সুতরাং গ্রাম দেশে প্রচলিত সেই প্রবাদ ঘুরেফিরে আসে, ‘শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দেয়া’। আর কমিটি গঠনের চিত্র যদি লক্ষ করেন, তাহলে দেখবেন- বেশির ভাগই মালিক ও শ্রমিকপক্ষের লোক। সরকারি প্রতিনিধিরা সাধারণত শক্তিমানদের স্বার্থই সংরক্ষণ করেন। সিভিল সোসাইটির যে দু’জন সদস্য রয়েছেন তাদের অবস্থান সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কতটা কার্যকর প্রমাণিত হবে, নিঃসন্দেহে তা প্রশ্নসাপেক্ষ বিষয়। পরিস্থিতি কার্যত ভয়াবহ।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়ের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট- এআরআইয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাজধানীতে ৫৩ শতাংশ দুর্ঘটনার কারণ বাস। সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত বেশির ভাগ সড়ক দুর্ঘটনার জন্য বেপরোয়াভাবে বাস চালানোকে দায়ী করেছে এআরআই। ২০১৬ সালের মার্চ থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীতে সংঘটিত দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে এআরআই বলেছে, এ সময়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৬৬টি। তাতে ৬৯৯ জন নিহত এবং এক হাজার ২২৭ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫৪টি দুর্ঘটনাই ঘটেছে বাসের কারণে। ২০১৬ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় ১২৩টি দুর্ঘটনার মধ্যে ৭৫টির কারণ ছিল বাস। ২০১৭ সালে ঢাকায় ২৬৩টি দুর্ঘটনার মধ্যে ১৪৫টি দুর্ঘটনায় বাসের সম্পৃক্ততা ছিল। ২০১৮ সালে ঢাকায় ২৮০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮৬ জন নিহত হন। সে বছর ১৩৪টি দুর্ঘটনার কারণ ছিল বাস। বেশি বাস দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে অভিজ্ঞমহল বাসের বাণিজ্যিক ব্যবহারকে দায়ী করছে। ক্ষমতাসীন মহলের চাপে এবং কর্তৃপক্ষকে ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে বাস ব্যবসায়ীরা এসব অন্যায় ও অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করেছেন। পুলিশ সাধারণত ব্যক্তিগত ও ছোটখাটো যানবাহন নিয়ন্ত্রণে আগ্রহ দেখিয়ে থাকে। তার কারণ সহজেই বোধগম্য। বাস পরিচালনার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা বরাবরই অভিযোগ করে আসছেন যে, বাস চালাতে তাদের নিয়মিত পুলিশ ও পরিবহন সমিতিতে টাকা দিতে হয়।
গাড়ির মালিক চুক্তিভিত্তিতে কাউকে গাড়ি চালাতে দিয়েই খালাস। তারা ড্রাইভার বা দুর্ঘটনার দায় নিতে নারাজ। জানা গেছে, সরকারি চাপ বাড়লে চাঁদার পরিমাণও বাড়ে। এ কারণে বাড়তি ভাড়া গুনতে হয় সাধারণ যাত্রীদের। সাধারণ যাত্রীরা এখন পরিবহন শ্রমিকদের হাতে জিম্মি। এ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় একটি ‘যাত্রীকল্যাণ সমিতি’ হয়েছে বটে, তবে তার কার্যক্রম নেই বললেই চলে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে ‘যাত্রী কল্যাণ সমিতি’ এতটাই শক্তিশালী যে, তাদের সাথে পরামর্শ না করে গাড়ি চালানো প্রায় অসম্ভব। আমাদের প্রতিবেশী দেশের পশ্চিমবঙ্গেও যাত্রীকল্যাণ সমিতি বেশ কার্যকর। সেখানে অবাধ লুণ্ঠন ও বেপরোয়া আচরণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে। আমাদের দেশে প্রতিটি রুটে পৃথক পৃথক যাত্রীকল্যাণ সমিতি গড়ে তোলা উচিত। এভাবে ন্যূনতম পর্যায়ে হলেও সাধারণ মানুষ তাদের জীবন, সম্মান ও সম্পদের নিরাপত্তা লাভ করতে পারবে।
লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়