আগামী সাত দিনের মধ্যে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান পদে জিএম কাদেরকে স্বপদে না ফেরালে জাতীয় পার্টি থেকে গণপদত্যাগের নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রংপুর বিভাগের মহানগর জেলা, পৌরসভা ও উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ। বুধবার দুপুরে রংপুর জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রংপুর মহানগর সভাপতি ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
লিখিত বক্তব্যে রংপুর সিটি মেয়র বলেন, আমরা রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মহানগর, পৌরসভা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ জাতীয় পার্টির সূচনালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত নিঃস্বার্থভাবে জাতীয় পার্টিকে সংগঠিত করার জন্য সামর্থ অনুযায়ী চেষ্টা করে আসছি; কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি যে, কেন্দ্রীয় কমিটিতে একটি কুচক্রী মহল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে ভুল বুঝিয়ে বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার প্ররোচনা দিয়ে আসছে। এতে জাতীয় পার্টির সুনাম ক্ষুন্নের পাশাপাশি পার্টির চেয়ারম্যানের ব্যাপারেও দেশের জনগন এবং নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি হচ্ছে।
সিটি মেয়র বলেন, ওই কুচক্রী মহলটির প্ররোচনায় গত ২২মার্চ জাতীয়পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে (জিএম কাদের) পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আমরা পার্টি প্রধানের এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত নই। এই সিদ্ধান্তের আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
লিখিত বক্তব্যে মেয়র বলেন, আমরা মনে করি যে মুহুর্তে জাতীয় পার্টিকে সুসংগঠিত করার সময়। সেই সময় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্নেহাস্পদ ছোটভাই এবং দেশ-বিদেশে পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত জিএম কাদেরকে পদ পদবি থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত জাতীয় পার্টির জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। সে কারণে আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে জিএম কাদেরের অব্যাহতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে তাকে পুনরায় স্বপদে বহাল করার জন্য পার্টির চেয়ারম্যানের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের এই দাবি মানা না হলে আমরা রংপুর বিভাগের সকল মহানগর জেলা, উপজেলা, পৌরসভা কমিটির নেতৃবৃন্দ সকল সাংগাঠনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করবো। এবং এই বিভাগে জাতীয় পার্টির সকল কর্মকাণ্ড প্রতিহত করবো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর মহানগর সেক্রেটারি এসএম ইয়াসির, রংপুর জেলা যুগ্ম সম্পাদক হাজি আব্দুর রাজ্জাকসহ রংপুর মহানগর এবং রংপুর বিভাগের জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ।