নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রফিকুল ইসলাম বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে যদি কেউ এখানে কোনো রকম ঝামেলা তৈরি করার চেষ্টা করলে কারো দিকে না তাকিয়ে জেলে ঢোকানো হবে। যদি কেউ নির্বাচনী মালামাল ছিনতাই করার চেষ্টা করে, জান-মালের ক্ষতি করার চেষ্টা করে কোনো রকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব না করে ওপেন ফায়ার। আজ বুধবার থেকেই বিজিবি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
বুধবার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া।
বিভিন্ন থানার ওসি ও ইউএনও’র বক্তব্যের পর নির্বাচন কমিশনার বলেন, এমপি কিংবা মন্ত্রীদের বিনীতভাবে আপনারা অনুরোধ করবেন যাতে প্রচারণায় তারা অংশ না নেন। কিন্তু তারপরও তারা কথা না শুনলে বলে দিবেন, নির্বাচন কমিশন যদি জানতে পারে আপনারা প্রচারণায় নামছেন তাহলে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া আছে। আপনারা সম্মানিত ব্যক্তি। আপনার সম্মানকে অক্ষুণ্ন রাখতে আমরা সর্বদা সচেষ্ট।
সোনারাগাঁ, রূপগঞ্জ এবং আড়ইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) দাবির প্রেক্ষাপটে অতিরিক্ত বিজিবি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করার নির্দেশ দেন নির্বাচন কমিশনার। এখানকার চরাঞ্চলে তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের জন্য একজন অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং কোস্টগার্ড এবং নৌ পুলিশ দেয়ারও নির্দেশনা দেন।
সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, কে কোন মার্কা, কে কোন দলের, কে এমপির প্রার্থী আর কে মন্ত্রীর প্রার্থী তা আমাদের দেখার সুযোগ নেই। সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করারই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। এর মাধ্যমেই জনগণ তার পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেবে। কোন ভোট চুরি করা, জালিয়াতি করা, কিংবা কোন মাদকব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজকে ভোটাররা বেছে নেবে না। ৩১ মার্চের নির্বাচনে কোনো এমপি, কোনো মন্ত্রী, কোনো গডফাদারের পরিচয় দিয়ে ভোট পাওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করছি।