নিউজিল্যান্ডে মুসলমানদের পক্ষে সংহতি সমাবেশ

নিউজিল্যান্ডের সংখ্যালঘু মুসলিমদের পাশে দাড়াতে এক সংহতি সমাবেশে যোগ দিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। সমাবেশে বর্ণবাদ, বৈষ্যম, উগ্রবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে সমবেতরা বলেছে, ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলারকারী ব্যর্থ হয়েছে বিভেদ ছড়িয়ে দিতে, আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি।

 অকল্যান্ডে এক সমাবেশে বক্তরা বর্ণবাদবিরোধী বিখ্যাত মার্কিন নেতা মার্টিন লুথার কিং ও ম্যালকম এক্সের বাণী উদ্বৃত করে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

অকল্যান্ডে আয়োজিত এই সমাবেশের উদ্যোক্তাদের একজন ডেনি উইলকিনসন তার বক্তৃতায় বলেন, ‘(সন্ত্রাসীদের)ঘৃণাবাদ থেকে আমরা শক্তি অর্জন করেছি। সেই শক্তি এখন আমরা কাজে লাগাবে শান্তি, ভালোবাসা,সহিংসতার মতো ইতিবাচক জিনিসের পক্ষে এবং বর্ণবাদ, ফ্যাসিবাদ, ধর্মান্ধতার মতো নেতিবাচক জিনিসগুলোকে দূর করতে।

শনিবার সন্ধ্যায় ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদের কাছে আয়োজন করা হয় আরেকটি সমাবেশের। যেখান যোগ দিয়েছে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। হামলার শিকার লিনউড মসজিদের ইমামের আলাবি লতিফ জিরুল্লাহ’র পরিচালনায় দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়। এসময় তিনি বলেন, যাই ঘটুক-তার কোন কিছুই আমাদের মধ্যে বিভেদ ছড়াতে পারবে না। এটি আমাদের নিউজিল্যান্ড, এখানে আমারা পারস্পারিক ভালোবাসার বন্ধনে বাস করবো।

সমাবেশে নিহত পঞ্চাশ মুসুল্লির নাম পাঠ করেন কেন্টারবুরি ইউনিভার্সিটির মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বারিজ শাহ। তিনি এসময় নিউজিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট জাসিন্ডা আরডার্নের দায়িত্বশীল ভূমিকা ও দৃষ্টান্তমূলক নেতৃত্বের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান।
বক্তৃতায় তিনি বলেন, আমরা ইসলামফোবিয়ার বিরুদ্ধে চিরকাল ঐক্যবদ্ধ থাকবো।

হামলায় নিহতদের মধ্যে দুজন ছিলেন কাশমেরে হাইস্কুলের ছাত্র। স্কুলটির প্রধান ওকিরানো তাইলাইয়া বিখ্যাত মার্কিন রাজনীতিক ও বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিংয়ের বাণী উদ্বৃত করে বলেন, ‘অন্ধকার দিয়ে কখনো অন্ধকার দূর করা যায় না, আলো দিয়ে অন্ধকার দূর করতে হয়।’ তিনি বলেন, আমাদের ভালোবাসার বন্ধনে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top