আবার ধরাশায়ী পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার কাছে তারা পাত্তাই পেল না। ফলে আরেকটি পরাজয় মেনে নিতে হলো। অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচেও জিতল হেসে-খেলে। রোববার শারজায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৮ উইকেটে, ১৩ বল হাতে রেখে।
পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের এটিও আরেক চিত্র, আগের দিনের মতোই। আপাত মনে হওয়া সুযোগগুলোকে ঠিক কাজে লাগাতে পারেনি যেন তারা। অবশ্য ২৮৪ পর্যন্ত তাদের যাওয়ার পেছনে মূল অবদান রিজওয়ান ও অধিনায়ক শোয়েব মালিকের ৫ম উইকেটে ১২৭ রানের জুটি। হারিস ও উমর আকমল শুরুটা করলেও ফিরে গেছেন ইনিংস বড় করতে না পেরেই, মালিক ও রিজওয়ানই টেনেছেন এরপর পাকিস্তানকে। ৬১ বলে ৬০ করে ফিরেছেন মালিক, আর রিজওয়ান তাকে অনুসরণ করেছেন ১২৬ বলে ১১৫ রান করে। ১১৪ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন তিনি। বিশ্বকাপের আগে এ সেঞ্চুরিতে একটা জায়গার দাবিও জানিয়ে গেলেন তাই।
এরপর পাকিস্তানের ছোট দুইটি ক্যামিওর ‘পালা’। ইমাদ ওয়াসিম করলেন ১০ বলে ১৯, আর সমানসংখ্যক বলে ১৪ রান ফাহিম আশরাফের। পাকিস্তানের স্কোর গিয়ে ঠেকলো প্রথম ওয়ানডের চেয়ে ৪ রান বেশিতে।
এবার পালা ফিঞ্চের। অবশ্য রোববার কম গেলেন না খাজাও। ওপেনিং জুটিতেই ওঠল ২০৯ রান, পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার যা দ্বিতীয় দুইশ পেরুনো ওপেনিং জুটি। ৩৭তম ওভারে গিয়ে ভেঙেছে তাদের সে জুটি, ইয়াসিরকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন খাজা। তবে তার আগেই করেছেন ৮৮ রান, ১০৯ বলে ৮ চারে।
মাঝে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে রান-আউট করল পাকিস্তান, তবে টলাতে পারলো না ফিঞ্চকে। আগের দিন ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরির সংখ্যাকে এক বাড়িয়ে নিলেন ফিঞ্চ, এদিন সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে খেলেছেন মাত্র ৯৭ বল। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১৪৩ বলে ১৫৩ রানে, ১১ চারের সঙ্গে মেরেছেন ৬টি ছয়। অর্ধেকের বেশি রান তিনি করেছেন বাউন্ডারি থেকেই। আগের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৪৮ রানের ইনিংসকেও তাই ছাড়িয়ে গেছেন এদিন ফিঞ্চ।
অস্ট্রেলিয়ার জয়টা অনেক্ষণ থেকেই হয়ে ছিল সময়ের অপেক্ষা। ১৮ বলে প্রয়োজন ছিল ১৪, ফাহিম আশরাফের পরের পাঁচ বলেই সেটা মার্শকে সঙ্গে নিয়ে সেরে ফেলেছেন ফিঞ্চ। নিশ্চিত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার আরেকটি দাপুটে জয়। আর আরো একবার ঘোষণা করেছেন যেন, বিশ্বকাপ আসছে!