উপজলো পরিষদ নির্বাচনে রোববার সকাল থেকে জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি না থাকলেও দুপুরের পর কেন্দ্রগুলোতে প্রকাশ্যে সিল ও ব্যাপক জাল ভোট দিতে দেখা গেছে। দুপুরের পর থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঢুকে প্রিসাইডিং অফিসারের নিকট থেকে ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে প্রকাশ্যে সিল মারতে দেখা যায়।
এসময় জাল ভোট দেয়ার অপরাধে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা ভোটকেন্দ্র থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৬ জনকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
এদিকে রোববার দুপুর ১টায় নোয়াগাঁও বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মমিন পাটোয়ারী ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন রানার উপস্থিতিতে দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
দুপুর ২টায় ভাটরা ইউনিয়নের পাচঁরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজাদ শেখ এবং ওয়ার্ড মেম্বার ইসমাইল হোসেন দুলালের নেতৃত্বে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা কেন্দ্র দখল করে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তুহিন মন্ডলের হাত থেকে ব্যালট পেপার বই ছিনিয়ে নিয়ে গণহারে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখা গেছে।
এসময় আওয়ামী লীগ নেতা আজাদ শেখ সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখেও প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারা থামিয়ে দেননি।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে করপাড়া ইউপির পূর্ব করপাড়া, মধ্যকরপাড়া, আন্দিরপাড়, গাজীপুর, বদরপুর কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ব্যাপক জাল ভোট দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দুপুর ১টায় পৌর জগতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে সিল মারার অভিযোগে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার প্রায় ১ঘণ্টা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখেন।
এ বিষয়ে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রির্টানিং অফিসার সিরাজুল ইসলাম মজুমদার বলেন, প্রিসাইডিং অফিসারের নিকট থেকে ব্যালট পেপার বই ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারার বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।