উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে রোববার। আগের দুই ধাপের মতো তৃতীয় ধাপের কেন্দ্রে ভোটার অবস্থা খুব একটা দেখা যায়নি। এ প্রসঙ্গে রোববার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট পড়ল তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো মাথা ব্যথা নেই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, একটি জোট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। ভোট না দেয়ার জন্যও তাদের প্রচারণা আছে। এসব আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে। এ সবকিছু মিলিয়ে কমিশন বলেছে নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট পড়ল এটা নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। বিষয়টা হলো শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনটা অনুষ্ঠিত হয়েছে কিনা।
কম ভোটারের উপস্থিতিতে ভোট গ্রহণযোগ্যতা পেল কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কত শতাংশ ভোট দিতে হবে বা গ্রহণযোগ্যতা পাবে কি-না এজন্য আমাদের দেশে কোনো আইন নেই।
নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, রোববার ১১৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু অনিয়মের কারণে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ভোট বন্ধ করা হয়েছে এবং এছাড়া সেখানে দায়িত্বে থাকা সেখানকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ওই থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া এ জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আরো কেউ এর সঙ্গে জড়িত হলে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনা হবে।
অনিয়মের কারণে এ ধাপে মোট ৯ হাজার ২৯৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪টি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হয়েছে বলেও জানান সচিব।
সচিব জানান, চট্টগ্রামের চন্দনাইশে দুইপক্ষের সংঘর্ষে একজন পুলিশ কনস্টেবল গুলিতে আহত হয়। তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে করে এনে ঢাকার হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
মোটোমুটি ভালো ভোট হয়েছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন আজকের ভোটে মোটামুটি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ ধাপে ৪০ থেকে ৪৫ ভাগ ভোট পড়তে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন সচিব।
এসময় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, ইসির যুগ্ম-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান ও এসএম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।