আগামী ২৬ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালনের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ২৪ মার্চ ২০১৯ নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন।
“আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। আমাদের জাতীয় জীবনে এ দিনের তাৎপর্য ও গুরুত্ব অপরিসীম। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লাখ জনতার সীমাহীন ত্যাগ এবং কুরবানীর বিনিময়ে আমরা মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এ দেশের মানুষের স্বপ্ন ছিল স্বাধীনতার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অধিকার, ভাতের অধিকার, ভোটের অধিকার ও বেঁচে থাকার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
জনগণের জানমাল, ইজ্জত-আব্রুর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় স্বাধীনতার ৪৮ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও জনগণের সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশে চলছে নির্বাচনের নামে অবাধ ভোট ডাকাতি, সীমাহীন দুর্নীতি, সন্ত্রাস, লুটপাট, হত্যা, ধর্ষণ, গুম, অপহরণ ও নৈরাজ্য। বাংলাদেশ একটি রক্তাক্ত জনপদে পরিণত হয়েছে।
জাতির উন্নতি ও কল্যাণের জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য ও গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা। কিন্তু সরকার জাতীয় ঐক্য ধ্বংস করে জাতিকে বিভক্তির দিকেই ঠেলে দিচ্ছে এবং নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতি করে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে দল-মত-নির্বিশেষে সবাইকে জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ভোট ডাকাতি, দুর্নীতি, দুঃশাসন, দলীয়করণ, বাক-স্বাধীনতা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করে সরকার দেশকে এক অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। ইসলাম ও জাতীয় মূল্যবোধ এবং ঈমান-আক্বিদার উপর চলছে সর্বগ্রাসী হামলা।
দেশের আলেম-ওলামা-পীর মাশায়েখগণও সরকারের জুলুম নিপীড়ন থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য ঐক্যব্ধভাবে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই মহান স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে ইনশাআল্লাহ।
জাতীয় ঐক্য, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে আগামী ২৬ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালনের জন্য আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল শাখা এবং দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”