রাফি স্মরণে বগুড়া আজিজুল হক কলেজে আলোচনা সভা

বগুড়া সরকারী আজিজুল হক কলেজের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র, স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধন এর শিক্ষা ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রিয়েল চেঞ্চ অব বাংলাদেশ-আরসিবি’র প্রতিষ্ঠাতা মরহুম সরকার মাকসুদুল মান্নান রাফির (২৩) স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা শনিবার দুপুরে কলেজের দর্শন বিভাগে হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. নুরুল আমীনের সভাপতিত্বে স্মরনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় প্রধান ডা. কালাচাঁদ শীল। স্মৃতি চারণ করে বক্তব্য রাখেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আযম আলী খান, সহকারী অধ্যাপক একেএম সোলায়মান হোসেন, সহকারী অধ্যাপক ফজলে বারী, সহকারী অধ্যাপক মোঃ ছফির আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক এসকেএম হুমায়ুন রশিদ, তাজরিন সুলতানা, বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিম পোদ্দার, রাফির বড় ভাই রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান, আরসিবি ফাউন্ডেশনের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক আছেফুল হুদা আশিক।

সহপাঠীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাইম হোসেন, সৈকত হোসেন, ইয়াসিন আলী প্রামানিক। রাফির স্মরণে মানপত্রপাঠ করেন মুন্না হোসেন। স্মরণসভা পরিচালনা করেন সিহাব হোসেন ও আবু রায়হান।

 বক্তারা বলেন, রাফি শুধু একজন শিক্ষার্থীই ছিলেন না। তিনি ছিলেন মানবিক এবং সামাজিক মানুষ। বিভাগ এবং সমাজের উন্নয়নে তিনি যেসব কর্মসূচি গ্রহন করেছিলেন, সেগুলো বিভাগের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয় সভায়। বিশেষ করে রাফির প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রিয়েল চেঞ্জ অব বাংলাদেশ-আরসিবি’র কার্যক্রম দর্শন বিভাগের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্যোগে এগিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

মরহুম সরকার মাকসুদুল মান্নান রাফি (২৩) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নাগরিক উদ্যোক্তা মরহুম আব্দুস সাত্তার সরকারের কনিষ্ঠ পুত্র এবং দৈনিক নয়া দিগন্তের স্টাফ রিপোর্টার ও রংপুর অফিস ইনচার্জ, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নানের ছোট ভাই।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রোববার ভোরে তিনি বড়ভাইয়ের রংপুরস্থ বাসায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ২৩ বছর। পরিবারের ১১ ভাইবোনের মধ্যে রাফি ছিলেন সর্ব কনিষ্ঠ। পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে মানবকল্যাণে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করেন আসছিলেন রাফি।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top