রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়িতে ৮ খুনের ঘটনাটি পরিকল্পিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর তারা এ মন্তব্য করেন।
কমিটির প্রধান দীপক চক্রবর্তী বলেন, ঘটনাটি ছিল একেবারেই পরিকল্পিত। যতদূর ধারণা, আগে থেকেই ভারী অস্ত্র নিয়ে ওঁৎ পেতে প্রস্তুত ছিল হামলাকারীরা।
সোমবার দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় সদরে ফেরার পথে দীঘিনালা-মারিশ্যা সড়কের নয় মাইল এলাকায় নির্বাচন কর্মকর্তা ও নিরাপত্তাকর্মীদের গাড়িবহরে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। এতে প্রাণ হারায় ৮ জন। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ২৫ জন। তারা সবাই ওই উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। এ ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই পর দিন সকালে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন বিলাইছড়ি আওয়ামী লীগ সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা।
ঘটনার পরদিন ১৯ মার্চ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশনায় সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের চট্টগ্রামের পরিচালক দীপক চক্রবর্তীর নেতৃত্বে কমিটির সদস্য সচিব, রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: নজরুল ইসলাম। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি ফয়েজ আহমেদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (যুগ্ম সচিব) আশীষ কুমার বড়ুয়া, চট্টগ্রাম ৩০ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক ও অধিনায়ক মো: নুরুল আমিন, বিজিবি রাঙামাটি সেক্টরের বাঘাইহাট জোনের মেজর আশরাফ ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ছাদেক আহমদ। কমিটি গঠনের পরবর্তী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
কমিটির সদস্য সচিব অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল ও তার আশপাশ এলাকা পরিদর্শন ছাড়াও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, আলামত ও তথ্য-উপাত্ত খোঁজেন। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী ছাড়াও ঘটনার দিন নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার, আনসার ভিডিপি সদস্য, নিহতদের পরিবারের সদস্যসহ আহতদের সাথে কথা বলেন।