তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের দেয়া বক্তব্যকে ‘হঠকারী’ ও ‘তীব্র আক্রমণাত্মক’ আখ্যায়িত করার এক দিন পরই কথা পাল্টালেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। এরদোগানের মন্তব্যের কারণে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে বিবেচনা করতে বাধ্য হবেন বললেও এখন বলছেন আঙ্কারার সাথে ‘সম্পর্ক উন্নয়নে’ কাজ করছে তার দেশ।
গত সোমবার তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কানাক্কাল প্রদেশে তুর্কি সেনাদের হাতে ব্রিটিশ সেনাদের পরাজয়ের বার্ষিকী স্মরণে আয়োজিত এক সমাবেশে এরদোগান বলেছিলেন, ক্রাইস্টচার্চের মতো তুরস্কে কেউ হামলা করতে এলে তাকে কফিন নিয়ে ফেরত যেতে হবে, এ ধরনের ঘটনা আবার ঘটালে গ্যারিপলির পূর্বপুরুষদের মতো তাকেও কফিনে উঠতে হবে।
এরদোগানের এমন কঠোর বক্তব্যের পর ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এমনকি দেশটিতে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে তলবও করা হয়। তবে এক দিন না পেরোতেই সে অবস্থান থেকে ফিরে এলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। কিন্তু এর অল্প সময় পরই তিনি জানালেন, তুরস্কের সাথে সম্পর্ক ‘পুনঃনির্মাণে’ কাজ করছে সরকার।
অবশ্য অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের প্রতিবাদের মুখে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছে তুরস্ক। এরদোগানের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এরদোগানের ওই কয়েকটি শব্দ আলোচনা বহির্ভূত ছিল। বিষয়টি মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে ছাপাও হয়েছে।
সন্ত্রাসবাদের সাথে খ্রিষ্টধর্মকে জড়াতে চান না এরদোগান
সন্ত্রাসবাদের সাথে খ্রিষ্টধর্মকে জড়াতে চান না তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। তার মতে, ক্রাইস্টচার্চে হামলাকারী সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারান্ট আইএসের মতোই। দু’টিই একই রকম সন্ত্রাসী। ওয়াশিংটন পোস্টে লেখা এক কলামে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে তিনি লেখেন, বিশ্বের ইতিহাস ও খ্রিষ্টধর্মীয় বিশ্বাসকে বিকৃত করে ক্রাইস্টচার্চের হামলাকারী তার হত্যাযজ্ঞকে যৌক্তিক করার চেষ্টা করেছে। সে মানুষের মধ্যে বিদ্বেষের বীজ বপন করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। তবে খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষা ও নীতির সাথে গত সপ্তাহের হামলার সম্পৃক্ততা সুস্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেন এরদোগান।