ক্রিকেট বিশ্বে স্বচ্ছ ইমেজ রয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির। তবে তার নামও জড়িয়েছিল ফিক্সিংয়ের মতো জঘন্য অপরাধে। অবশ্য সেই অপবাদ ভুল প্রমাণ করে সদর্পে নিজের ইমেজ অক্ষত রাখেন তিনি। কিন্তু এর দুঃসহ যাতনা এখনও কুরে কুরে খায় তাকে।
সদ্যই মুক্তি পেয়েছে প্রামাণ্যচিত্র ‘রোর অব লায়ন’। এতে জীবনের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন ধোনি। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা ফিক্সিংয়ের অভিযোগকেই জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
২০১৩ আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সেই কেলেংকারিতে নাম জড়িয়ে পড়ে ধোনির। এতে ভীষণ মানসিক চাপে ছিলেন তিনি। এতটাই বিপর্যস্ত ছিলেন যে, ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে গ্রুপপর্ব থেকে ভারতের বিদায়ের চেয়েও ফিক্সিংয়ের বিষয়টিকে বাজে স্মৃতি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ক্যাপ্টেন কুল।
ধোনি বলেন, ২০১৩ সাল আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়। এতটা হতাশ কখনই হইনি। ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হয়ে গ্রুপপর্ব থেকে বাদ পড়া এর কাছাকাছি থাকবে। ক্রিকেটের ওই বৈশ্বিক আসরে আমরা খুবই খারাপ হেরেছিলাম। তবে ফিক্সিংয়ের বিষয় একেবারেই ভিন্ন।
ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক বলেন, ওই সময় মানুষ এ ফিক্সিং নিয়ে আলোচনায় বুঁদ ছিল। গোটা ভারতে হট টপিকে পরিণত হয়েছিল। কিছুদিন সেটি ছিল টক অব দ্য টপিক। প্রকৃত অর্থে তা ভীষণ বিব্রতকর ছিল।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ভুল করেছিল। কিন্তু এর সঙ্গে কী খেলোয়াড়েরা জড়িত ছিলেন? প্রশ্ন ছুড়ে দেন ধোনি। তিনি বলেন, ফিক্সিংয়ে আমার নামও উঠে এসেছিল। গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় রব উঠেছিল, গোটা দল ও আমি জড়িত। আদৌ এটা সম্ভব? হ্যাঁ, এটা সম্ভব।
যে কেউ স্পট ফিক্সিং করতে পারেন। আম্পায়ার, ব্যাটসম্যান, বোলার, ফিল্ডার পারেন। কিন্তু ম্যাচ ফিক্সিং করতে দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে জড়াতে হয়? এ প্রশ্নও রাখেন মাহি।
ধোনি সেই ফিক্সিংয়ে জড়িত ছিলেন না। পরে দিনের আলোর মতো সেটি পরিষ্কার হয়েছে। তবু ফিক্সিংকে সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ বলে মনে করেন তিনি। বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, আমি যে পর্যায়ে পৌঁছেছি, যা কিছু অর্জন করেছি, সব ক্রিকেটের দান। তাই ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, হত্যার চেয়েও বড় অপরাধ ম্যাচ পাতানো।