যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশ’র প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে একদলীয়। এ নির্বাচনে প্রতিযোগিতা একটি দলের প্রার্থীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
বি. চৌধুরী বাংলাদেশ শরীয়াহ আন্দোলনের (যুক্তফ্রন্টের শরিক দল) দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও স্বাধীনতা দিবস বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বাস চাপায় মেধাবী ছাত্র আবরার হোসেনের নিহত হওয়ার ঘটনাকে হত্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে আইন থাকলেও প্রয়োগ নেই, আমরা অবিলম্বে এই অবস্থার অবসান চাই। এ প্রসঙ্গে বি. চৌধুরী আরো বলেন, আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত না হলে দেশে সুশাসন থাকবে না। তিনি অবিলম্বে প্রচলিত আইনে প্রযোগের মাধ্যমে ছাত্রসহ পথচারী হত্যাকারী চালকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের রুহের মাগফেরাৎ কামনা করে সাবেক এই বদরুদ্দোজা বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রধান শপথ ছিল গণতান্ত্রিক দেশ গড়ার, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার। এখন ভোটদানের অধিকার আছে কি, সেটা গুরুত্বপূণ্র্ ভাবনার বিষয়।
বি. চৌধুরী বলেন, সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমুলক হলেও উপজেলা নির্বাচন অংশগ্রহণমুলক হলো না কেনো সরকারকে এটা ভাবতে হবে। এ নির্বাচনে প্রতিযোগিতা ছিল একদলের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাই এটা একদলীয় নির্বাচন হয়েছে।আবার ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল খুবই কম। তিনি বলেন, নির্বাচনকে অবশ্যই অংশগ্রহণমূলক করতে হবে।ভোটাররা কেনো ভোট দিতে যায় না, এটা নিয়ে ভাবতে হবে।
ভোটাররা ভোটবিমুখ হলে গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বি. চৌধুরী বলেন, বিরোধী দলকে রাজনীতি করার সুযোগ দিতে হবে। কারণ বিরোধী দল ছাড়া গণতন্ত্র সম্পূর্ণ হয় না।তাদের সমান সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। ঘৃণার রাজনীতির পরিবর্তে শ্রদ্ধার রাজনীতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান বলেন, এই সংস্কৃতি যেদিন প্রতিষ্ঠিত হবে সেদিনই প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার জন্য সব রাজনৈতিক দলকে এই নির্বাচনে অংশ গ্রহণের আহ্বান জানান।
বি. চৌধুরী ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে এই ঘটনাকে বর্ণবাদী শেতাঙ্গ সন্ত্রাস হিসেবে অভিহিত করেন।
বাংলাদেশ শরীয়াহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা আমীর হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ মাসুম বিল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের নায়েবে আমীর মুফতি শাহাদাত হোসাইনের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন যুক্তফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক এবং বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম সারোয়ার মিলন, বিএলডিপির চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ড. এম.এ মুকিত, শরীয়াহ আন্দোলনের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা নজরুল ইসলাম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হামদুল্লা আল মেহেদী, শরীয়াহ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা নজরুল ইসলাম, মুফতি রুহুল আমিন, মুন্না রহমান লুৎফর, ডা. ফয়েজ আহমাদ, সাইফুল ইসলাম, মাওলানা আছাদুজ্জামান নূর প্রমুখ। ।